আগের ম্যাচে কিছুটা খরুচে হলেও, তিন উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। এবার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ২০ রানে দুই উইকেট শিকার করেছেন। কিন্তু শারজাহ ওয়ারিয়র্সের ব্যাটিং ব্যর্থতায় তার এমন বোলিংও কাজে আসেনি। তাদের দেওয়া মাত্র ৯১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় চার উইকেটে জিতেছে ডেজার্ট ভাইপার্স।
শনিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইএল টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় শারজাহ-ডেজার্ট। আগে ব্যাট করতে নেমে তাসকিন-সিকান্দার রাজার দল লড়াইয়ের পুঁজিও পায়নি। দুই ব্যাটার ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেনি শারজাহ’র। টম অ্যাবেল সর্বোচ্চ ৩৫ ও ইথান ডি’সুজা ১৮ রান করেছেন। তবে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিয়ে তাদের উভয়েই ছিলেন ধীরগতির।
ম্যাচের শুরু থেকেই বিপর্যয় লেগে ছিল শারজাহ’র ব্যাটিংয়ে। দলীয় মাত্র নয় রানে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার জনসন চার্লসকে হারায়। এরপর থেকে আর তাদের বিপর্যয় কাটানো যায়নি। ফলে ম্যাচে শারজাহ’র সর্বোচ্চ ব্যাটিং জুটিটা ছিলো ৩৩ রানের (চতুর্থ উইকেটে)। টম কোহলার-ক্যাডমোর, সিকান্দার রাজা, দীনেশ কার্তিকদের কেউই সেই বিপদ কাটাতে পারেননি। ফলে ১৭.৫ ওভারেই মাত্র ৯০ রানে গুটিয়ে যায় শারজাহ ওয়ারিয়র্স। ডেজার্টের হয়ে ডেভিড পেইন সর্বোচ্চ ৩, নাসিম শাহ, নুর আহমদ ও খুজাইমা তানভির দুইটি করে শিকার করেন।
লক্ষ্য তাড়ায় নামা ডেজার্টকে দ্বিতীয় ওভারেই বিপদে ফেলেন তাসকিন। তুলে নেন পাকিস্তানি তারকা ফখর জামানের উইকেট। পরের উইকেটটাও তার দখলে। বাংলাদেশি এই ডানহাতি পেসার এবার হাসান নেওয়াজকে ফেরান দলীয় ২০ রানে। তাসকিনের গড়ে দেয়া এই মোমেন্টাম শারজাহ’র বাকি বোলাররা কাজে লাগাতে চেষ্টা করেছেন ঠিক, তবে তাদের পুঁজি যে সমর্থন দিচ্ছিল না। ফলে ৮৮ রানে ছয় উইকেট হারালেও জিততে বেগ পেতে হয়নি ডেজার্টকে। ১৩ দশমিক পাঁচ ওভারে তারা চার উইকেটে জয় তুলে নেয়।
ডেজার্টের পক্ষে অধিনায়ক স্যাম কারান সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেছেন। বিপরীতে শারজাহ’র পক্ষে তাসকিন চার ওভারে ২০ রানের বিনিময়ে দুই এবং সিকান্দার রাজা, আদিল রশিদ, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও হারমিত সিং একটি করে উইকেট শিকার করেন।
আরও পড়ুন:








