সোমবার

২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৭ পৌষ, ১৪৩২

ঢাকায় আসছে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি, থাকছে শর্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫৯

শেয়ার

ঢাকায় আসছে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি, থাকছে শর্ত
সংগৃহীত ছবি

জানুয়ারিতে ঢাকায় আসছে ফিফা বিশ্বকাপের ট্রফি। তবে তা নির্ভর করবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর। এবারের বিশ্বকাপ ট্রফি সফরে আয়োজক প্রতিষ্ঠান দর্শক সম্পৃক্ততা বাড়াবে বলে প্রত্যাশা বাফুফের। ২০২৬ বিশ্বকাপের ম্যাচ বাড়ায় এবার ফিফা থেকে পাওয়া টিকিটের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম।

এদিকে, আগামী বছর পাঁচ প্রবাসী ফুটবলার নিয়ে কাজ করবে ফেডারেশন। লাতিন বাংলা সুপার কাপের অব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজকদের সতর্ক করেছে বাফুফে।

জন এফ কেনেডি সেন্টারে ড্রয়ের মাধ্যমে বেজে গেছে ২০২৬ বিশ্বকাপের দামামা। এরই মধ্যে বিশ্বকাপের ট্রেনে উঠে গেছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, স্পেন, পর্তুগালসহ ফুটবলের পরাশক্তিরা। প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হওয়ায় কাগজ কলম নিয়ে প্রিয় দলের বিশ্বকাপ সফর নিয়ে হিসেব-নিকেশও শুরু করেছেন সমর্থকরা।

এখনো বাকি ৬ মাস, এর মাঝেই ফুটবলের মহারণ নিয়ে বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে উন্মাদনা। যে উন্মাদনার পালে হাওয়া দিতে আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে আসছে বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি। দিনক্ষণও প্রায় চূড়ান্ত। আগামী ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর। ২০২৬ বিশ্বকাপের ম্যাচ বাড়ায় বাড়তে পারে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দকৃত টিকিটের সংখ্যাও।

বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম বলেন, ‘আমাদেরকে বার্তা পাঠিয়েছে যে তারা ট্রফিটা আনছে। আমরাও জানতাম। ট্রফিটা বাংলাদেশে এক দিনের জন্য আসবে। আমাদেরকে বলা হয়েছে, ওরা ফাইনাল পরিকল্পনা করে আমাদের দেখাবে। সেখানে যদি আমাদের কোনো ইনপুট থাকে, তারা বিবেচনা করবে। আমরা কিন্তু ইতোমধ্যেই ফিফাকে জানিয়েছে, এবার যেহেতু খেলা বেড়েছে, আমাদেরকে বেশি টিকিট দেওয়া যায় কিনা।’

বিশ্বকাপের বছর থেমে থাকবে না দেশের ফুটবলও। আগামী বছর পাঁচ প্রবাসী ফুটবলারকে বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাফুফে। যেখানে রয়েছে আলোচিত সুলিভান ব্রাদার্স। তবে ফুলহ্যামের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলা ফারহান আলী ওয়াহিদকে নিয়ে বাফুফে শোনাতে পারেনি আশার বাণী।

এ বিষয়ে ফাহাদ করিম বলেন, ‘সুলিভান ব্রাদার্স তো অবশ্যই আছেন। আমরা অনেক আগে থেকেই তাদের নিয়ে কাজ শুরু করেছি। শমিতের সঙ্গে যখন আমরা কথা বলি, তখনই কিন্তু ফারহানের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন তারা জানিয়েছিল, এ মুহূর্তে তারা বিবেচনা করছে না। সুতরাং আমরা অপেক্ষা করব।’

এদিকে, দেশে চলমান লাতিন-বাংলা টুর্নামেন্টের অব্যবস্থাপনা নজরে এসেছে বাফুফের। দেশের ফুটবলের ইমেজের স্বার্থে এই টুর্নামেন্টের আয়োজক প্রতিষ্ঠানকে আরও বেশি সতর্ক হতে বললো ফেডারেশন। ভবিষ্যতে এমন টুর্নামেন্ট আয়োজনের অনুমতি দেওয়ার পূর্বে আরও বেশি সতর্ক হবে বাফুফে।

ফাহাদ করিম বলেন, ‘এটা খুবই অপেশাদার। এখানে কোনো সন্দেহ নেই। খুবই অপ্রত্যাশিত। সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আমি আজকেও কথা বলেছি। বলেছি দ্রুত ওদের সঙ্গে বসতে। হ্যাঁ, ৯০ শতাংশ দায়িত্ব আমাদের। কিন্তু ফেডারেশন হিসেবে তো আমরা তাদের বলতে পারি। আমরা করতে পারব না হয়তো, কারণ নিরাপত্তা আমরা দিতে পারব না।’

লাতিন বাংলা সুপার কাপে বাফুফে অসহযোগিতা নিয়ে আয়োজকদের করা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বাফুফে সহ-সভাপতি। টুর্নামেন্টের জন্য ফেডারেশন থেকে সব ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়া হয়েছে বলে জানান ফাহাদ করিম।



banner close
banner close