টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের জয়যাত্রা থামাল শ্রীলঙ্কা। শেষ ওভারের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে টানা ছয় ম্যাচ জেতার পর হার দেখল পাকিস্তানিরা। একই সঙ্গে জিম্বাবুয়ের ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ভেঙে গেল। দুষ্মন্ত চামিরার দারুণ বোলিংয়ে শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ১০ রান করতে পারেনি পাকিস্তান। সিরিজে টানা হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে লিগের শেষ ম্যাচটি ৬ রানে জিতে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা। আগামীকাল (শনিবার) আবার দুই দল মুখোমুখি হবে, এবার শিরোপায় চোখ রেখে।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা ১৮৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে। লক্ষ্যে নমে পাকিস্তান ৪৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে। চতুর্থ ওভারে ২৯ রানে দুই উইকেট হারানোর পর ক্রিজে নামেন তাদের অধিনায়ক সালমান আগা। তিনি জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখলেও শেষ ওভারে ১০ রানের মাত্র ৩ রান তুলতে পারে স্বাগতিকরা।
চামিরা শুধু শেষ ওভারেই দারুণ বোলিং করেননি। তার বোলিং ফিগার বলছে, ম্যাচ জয়ের নায়ক তিনিই। ৪ ওভারে চামিরা মাত্র ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। এহসান মালিঙ্গা নেন দুটি উইকেট।
শুরুর দিকেই চামিরা টপ অর্ডারের তিন উইকেট নেন। পঞ্চাশের আগেই চার ব্যাটার ফিরে যাওয়ার পরও সালমান দলকে পথে রাখেন। অপরাজিত থাকেন ৬৩ রান করে। উসমান খানের (৩৩) সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি ছিল তার। শেষ দিকে মোহাম্মদ নওয়াজ ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংসে পাকিস্তানকে আশার আলো দেখান। কিন্তু শেষ দিকে সেভাবে আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। তাতে ৭ উইকেটে ১৭৮ রানে থামে তারা।
তার আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারে পাথুম নিসাঙ্কা আউট হন। আগের ম্যাচের সেরা ব্যাটারকে হারালেও শ্রীলঙ্কা ৬৬ রানের জুটিতে শক্ত জবাব দেয় পাকিস্তানকে। কামিল মিশারা ও কুশল মেন্ডিস দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বড় স্কোরের ভিত গড়েন।
কামিল ৪৮ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৭৬ রান করেন। কুশলের ২৩ বলের ইনিংসে রান ৪০। শেষ দিকে জানিথ লিয়ানাগে ২৩ বলে অপরাজিত ২৪ রানে অভদান রাখেন। দাসুন শানাকার ১৭ রানের ইনিংসও ছিল কার্যকরী।
আরও পড়ুন:








