পাকিস্তানে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকায় অনেক লঙ্কান ক্রিকেটার প্রথমে ম্যাচ খেলতে রাজি হননি, যার ফলে সিরিজটি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তবে, শেষমেশ একদিন পিছিয়ে হলেও দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে পাকিস্তান ৮ উইকেটে লঙ্কানদের হারিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করেছে।
শ্রীলঙ্কান দলকে সুরক্ষা দিতে মাঠে নামে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী। দেশটির সেনাপ্রধান আসিম মুনিরও শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রমিথা বান্দারা টেনাকুনকে দলের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেন। এমন পরিস্থিতিতে টস হেরে শুরুতে ৮ উইকেটে ২৮৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় লঙ্কান দল। জবাবে ২৮৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন বাবর আজম। দুই বছরেরও বেশি সময় পর দেখা পেয়েছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০তম ও ৮৪ আন্তর্জাতিক ইনিংস পর প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি। তার অপরাজিত ১০২ রানে ভর করেই ২ উইকেট হারিয়ে ৪৮.২ ওভারে পাকিস্তান নিশ্চিত করেছে জয়।
শুরুর জুটিতে ফখর জামান ও সাইম আইয়ুব মিলে ৭৭ রান যোগ করেন। সাইম ৩৩ রানে ফিরলে ভাঙে জুটি। তার পর ফখর-বাবর মিলেই জয়ের মঞ্চ গড়েন। দলের ১৭৭ রানে ৭৮ রানে বিদায় নেন ফখর। তার ৯৩ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ১টি ছয়। তার পর রিজওয়ানের হাফসেঞ্চুরি (৫১*) ও বাবরের সেঞ্চুরিতে (১০২*) নিশ্চিত হয় জয়। বাবরের ১১৯ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি বাউন্ডারি। দুজনে অবিচ্ছিন্ন থাকেন ১১২ রানে।
এর আগে লঙ্কানদের ইনিংসে ফিফটির দেখা পেয়েছেন শুধু জেনিথ লিয়ানাগে (৫৪)। তাছাড়া উল্লেখযোগ্য ইনিংস বলতে সাদিরা সামারাবিক্রমা (৪২), কামিন্দু মেন্ডিস (৪৪) ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (৩৭*) রানের ইনিংস খেলেছেন।
আবরার আহমেদ পাকিস্তানের হয়ে ৪১ রানে ৩ উইকেট নেন। ৬৬ রানে তিন উইকেট নেন হারিস রউফও।
আরও পড়ুন:








