২০০৯ সালে লাহোরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে লঙ্কানরা। এই ঘটনায় দীর্ঘ সময় পাকিস্তানে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন হয়নি।
বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থান করছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। এমন অবস্থায় ইসলামাবাদে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলার পর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের সফর চালিয়ে যেতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রধান ও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি সিনেটে জানান, হামলার পর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা খেলার জন্য অনীহা দেখালে সেনাবাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির শ্রীলঙ্কার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এরপর সফর চলমান রাখার সিদ্ধান্ত জানায় লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভি এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে। সিনেটে ভাষণ দেওয়ার সময় নাকভি বলেন, ‘আমাদের ফিল্ড মার্শাল নিজেই তাদের (শ্রীলঙ্কার) প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের আশ্বস্ত করেছেন এবং সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন।’
পিসিবি প্রধান আরও বলেন, ‘বোমা বিস্ফোরণের পর শ্রীলঙ্কা ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এরপর আমাদের তাদের সঙ্গে আলাপ শুরু হয়, শ্রীলঙ্কার বোর্ড, খেলোয়াড় এবং সবাই সাহসিকতার সঙ্গে এখানে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের অনেক বিষয়ে উদ্বেগ ছিল; কিন্তু আমরা সব উদ্বেগ দূর করার চেষ্টা করেছি।’
শ্রীলঙ্কা দলকে উচ্চ স্তরের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে নাকভি বলেন, ‘এখন পাকিস্তান আর্মি, রেঞ্জার্স ও ইসলামাবাদ পুলিশ একসঙ্গে তাদের নিরাপত্তা বজায় রেখেছে। রাষ্ট্রপতি ও অতিথিদের যেভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হয়, তাদেরও একই ধরনের প্রোটোকল ও নিরাপত্তা দিচ্ছি আমরা।’
গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল এই শহরেই অবস্থান করছেন। এমন পরিস্থিতিতে সিরিজের বাকি দুই ওয়ানডে এক দিন করে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই সিরিজ শেষে পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে হবে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেই সিরিজে অংশ নিতে জিম্বাবুয়ে দল এরই মধ্যে পাকিস্তানে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন:








