বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে তিন ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ২৩ জন পরিচালক। বাকি দুই পরিচালক মনোনীত হয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কোটায়। এর মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনে বিস্ময় জাগিয়েছে এনএসসির কোটায় এম ইসফাক আহসান ও ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিকের পরিচালক হওয়া।
সমালোচনা হচ্ছে ওয়েস্টিন ক্লাবের সিইও শাখাওয়াত হোসেনকে সহসভাপতি করা নিয়েও। যিনি ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর হিসাবে বরিশাল থেকে পরিচালক হয়েছেন। দুজনই ব্যবসায়ী। ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে তাদের সরাসরি কোনো সম্পৃক্ততা আগে ছিল না। ইসফাক আহসান ‘আহসান গ্রুপ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইয়াসির ফয়সাল আশিক ‘চৈতী গ্রুপ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
নির্বাচনের আগে ধারণা করা হয়েছিল, এ কোটায় সাবেক ক্রিকেটার সেলিম শাহেদ বা নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাথিরা জেসি মনোনয়ন পেতে পারেন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে ক্রীড়া জগতের বাইরের দুই ব্যবসায়ীকে মনোনয়ন দেয় এনএসসি।
আগের ধারায় এ কোটায় সাধারণত সাবেক ক্রীড়াবিদ বা অভিজ্ঞ ক্রীড়া সংগঠকরা মনোনীত হতেন। আমিনুল ইসলাম বুলবুল, নাজমুল আবেদিন ফাহিম বা ফারুক আহমেদের মতো সাবেক ক্রিকেটাররা একসময় এ কোটায় ছিলেন। এবার সেই প্রথা ভেঙে এসেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন দুই নাম।
এনএসসির মনোনয়ন ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে ক্রীড়াঙ্গনে। বিশেষ করে এম ইসফাক আহসানকে নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা তুঙ্গে। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এবং চাঁদপুরের মতলব আসনের রাজনীতিতে সক্রিয়।
২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাবেক মন্ত্রী মায়া চৌধুরীর আসনে। তার শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম সংসদ-সদস্য। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী পরিবার থেকে এসেছেন ইসফাক। সবশেষ খবর, এনএসসি আজ ইসফাক আহসানের পরিচালক পদ খারিজ করতে যাচ্ছে।
এনএসসি কোটায় তার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠতার জেরে তিনি পরিচালক হয়েছেন।
আরও পড়ুন:








