ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) ২০২৫-এ এবারো ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। শনিবার গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে অ্যান্টিগা ও বারবুডা ফ্যালকন্সের হয়ে দুই ওভার বল করে ১৬ রান দিলেও উইকেটশূন্য ছিলেন এই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতেও ৮ রান করে ফিরেছেন দ্রুতই। শেষ পর্যন্ত তার দল ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে।
ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স ২০ ওভারে তোলে বিশাল ২১১ রান। ইনিংসের মূল নায়ক ছিলেন শাই হোপ (৫৪ বলে ৮২) এবং শিমরন হেটমায়ার (২৬ বলে ৬৫)। তাদের ১০৬ রানের বিধ্বংসী জুটিতে শেষ ৯ দশমিক ২ ওভারে ওঠে ১৪৭ রান। রোমারিও শেফার্ড শেষ দিকে মাত্র ৮ বলে ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলের স্কোর আরও এগিয়ে দেন।
অ্যান্টিগার হয়ে সাকিব আল হাসান ২ ওভারে ১৬ রান দিলেও উইকেট পাননি। দলের অন্য বোলার শামার স্প্রিংগার ৪ ওভারে দেন ৬১ রান—যা দলের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান খরচের রেকর্ড।
২১২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অ্যান্টিগা শুরুর আগ্রাসন দেখালেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। করিমা গোর ১৪ বলে ৩১ রান করেন, যা ছিল দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এরপর একে একে ফিরে যান সব ব্যাটাররা। সাকিব ৭ বলে করেন মাত্র ৮ রান। বেভন জ্যাকবস ২৬ এবং ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ২২ রান করলেও দল ১৫ দশমিক ২ ওভারে গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৮ রানে।
গায়ানার হয়ে ইমরান তাহির ৪ ওভারে মাত্র ২১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা পারফরম্যান্স দেন। সিপিএলে ৪০ বছর বয়সেও তার ধার অব্যাহত।
এই ম্যাচেও সাকিবের ভূমিকা ছিলো সীমিত ও অপ্রভাবশালী। চলতি আসরে তিনি কোনো ম্যাচেই অলরাউন্ড অবদান রাখতে পারছেন না। তার ব্যর্থতা অ্যান্টিগার জয়ের সম্ভাবনাকে দিন দিন ক্ষীণ করে দিচ্ছে।
এখন দেখার বিষয়, সিপিএলের বাকি ম্যাচগুলোতে সাকিব কীভাবে ঘুরে দাঁড়ান—নাকি এই আসরটা স্মরণীয় নয়, বরং ভুলে যাওয়ার মতোই থেকে যাবে তার জন্য।
আরও পড়ুন:








