বৃহস্পতিবার

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩ পৌষ, ১৪৩২

টটেনহ্যামকে কাঁদিয়ে সুপার কাপ জিতলো পিএসজি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৩৩

শেয়ার

টটেনহ্যামকে কাঁদিয়ে সুপার কাপ জিতলো পিএসজি
ছবি: সংগৃহীত

উয়েফার অন্যতম দুই শীর্ষ প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়নদের লড়াই, তবে নিশ্চিতভাবেই ফেভারিট ছিলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী প্যারিসিয়ান সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। প্রথমবারের মতো ইউরোপসেরার মুকুট পরা দলটিকে অবশ্য সুপার কাপের শুরুতে ভড়কে দিয়েছিল ইউরোপা লিগের চ্যাম্পিয়ন টটেনহ্যাম। দুই দফা পিছিয়ে থেকেও অবশ্য পিএসজি লিখেছে দুর্দান্ত কামব্যাকের গল্প। এরপর টটেনহ্যামের হৃদয় ভেঙেছে টাইব্রেকারে।

ইতালির ব্লুনার্জি স্টেডিয়ামে ৪৮ মিনিটে দুই গোল করে এগিয়ে ছিলো ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর টটেনহ্যাম। এই ম্যাচ দিয়েই আর্জেন্টাইন তারকা ইংলিশ ক্লাবটির অধিনায়কত্ব শুরু করলেন। আবার টটেনহ্যামের কোচ হিসেবেও প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নেমেছিলেন টমাস ফ্র্যাঙ্ক। দুজনেরই শুরুটা ট্রফি উদযাপন দিয়ে হতে পারত। এদিকে, দ্বিতীয়ার্ধে এক গোলের পর যোগ করা সময়ে আরেকবার টটেনহ্যামের জালে বল জড়িয়ে (২-২) ম্যাচ টাইব্রেকারে নিয়ে যায় পিএসজি। যেখানে ফরাসিদের পক্ষে ফল নির্ধারণ হলো ৪-৩ ব্যবধানে।

টটেনহ্যামের হয়ে গোল করেছেন মিকি ভ্যান দে ভেন ও ক্রিস্তিয়ান রোমেরো। বিপরীতে পিএসজির হয়ে স্কোরশিটে নাম তোলেন লি কাং-ইন ও গঞ্জালো রামোস। তবে বল দখলে একপেশে আধিপত্য ছিল গত মাসে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসির কাছে হারা পিএসজি। লুইস এনরিকের দল এদিন ৭৪ শতাংশ বল দখলে রেখে ১২টি শট নেয়, এরমধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৩টি। বিপরীতে টটেনহ্যাম ১৩ শটের মধ্যে ৫টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে।

মে মাসে অনুষ্ঠিত ইউরোপা লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে ১৭ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়েছিল টটেনহ্যাম। সুপার কাপের ম্যাচে তারা শুরু থেকে পিএসজিকে চেপে ধরে। টানা আক্রমণ চালিয়ে ৩৯তম মিনিটে ডাচ ডিফেন্ডার ভ্যান দে ভেন প্রথম লিড এনে দেন টটেনহ্যামকে। দ্বিতীয়ার্ধের পরপরই অধিনায়ক রোমেরো ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ ও দুইবার কোপাজয়ী এই ডিফেন্ডার গোলটি করে পেদ্রো পারোর ফ্রি-কিকে মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়িয়ে।

দুই দফায় পিছিয়ে পড়ে পিএসজি ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে। প্রথমে ৬৫তম মিনিটে গোল পেলেও তা বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। আবার টটেনহ্যামের জালে বল জড়াতে তাদের ৮৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার উইঙ্গার লি কাং-ইন বক্সের বাইরে থেকে জোরালো নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে উসমান দেম্বেলের ক্রসে রামোস সমতা টানেন হেডে দেয়া গোলে। কয়েক মিনিটের ব্যবধানেই হৃদয়ে কাঁপন ধরে টটেনহ্যামের।



banner close
banner close