২০২৪ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। জাতীয় দলের কোচ হয়ে তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট শুরু হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে। সেই সফরে দলের সঙ্গে ছিল না বিশেষজ্ঞ কোনো ব্যাটিং কোচ। যে কারণে ব্যাটারদের দেখভালের দায়িত্বও পান স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় কোচ সালাউদ্দিন। কিন্তু টাইগার ব্যাটারদের লাগাতার ব্যর্থতার কারণে তিনি প্রশ্নের মুখে পড়েছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিন ফরম্যাটের সিরিজ দিয়েই ব্যাটারদের ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব নেন সালাউদ্দিন। এরপর একে একে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ, আরব আমিরাত এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তিনি ব্যাটারদের দেখভাল করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ওই দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী কোচ সালাউদ্দিন।
দলের ব্যাটারদের ছন্নছাড়া ব্যাটিং দেখে প্রশ্ন উঠছে ব্যাটিং কোচের ভূমিকা নিয়ে। সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের কোনো ম্যাচেই ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি বাংলাদেশি ব্যাটাররা। অফফর্ম চলমান রয়েছে লিটন দাসের। তানজিদ তামিম, তাওহীদ হৃদয়রাও ব্যাট হাতে ধারাবাহিক হতে পারছেন না। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত পাঁচটি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ, যেখানে সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংসটি ২৪৮ রানের। সর্বনিম্ন ১৬৭। ওয়ানডেতে এখন সহজেই রানতাড়ায় ৩০০ পেরোনোর অনেক নজির দেখা যায়, সেখানে আড়াইশর গণ্ডিতে আটকে আছে বাংলাদেশ।
২০২৫ সালে স্রেফ একটি ম্যাচেই পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করতে পেরেছে শান্ত-মিরাজদের দল। রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৩৬ রান তোলে সেই ম্যাচে। বাকি চার ম্যাচে ইনিংস শেষ হওয়ার দুই বল আগে থেকে শুরু করে ১৪ ওভার আগেও অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় ব্যাটারদের সামর্থ্য ও মনোযোগ নিয়ে তো প্রশ্ন উঠছেই, কোচ তাদের দুর্বলতা কাটাতে কী ভূমিকা রাখছেন তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
সাধারণত শিষ্যরা ভালো করলে কোচরাও বাহবা পান। দলীয় সাফল্যের পেছনেও অবশ্যই কোচের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। খেলোয়াড়দের দক্ষতা বৃদ্ধি, কৌশল প্রণয়ন এবং পরিস্থিতি অনুসারে কার্যকর দিকনির্দেশনা দিয়েও কোচ খেলার মোমেন্টাম পাল্টাতে রাখেন বড় প্রভাব।
আরও পড়ুন:








