শনিবার

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৫ পৌষ, ১৪৩২

আজ মেসির ৩৮তম জন্মদিন: এমন মানবজনম আর কি হবে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪ জুন, ২০২৫ ০৮:৪৭

শেয়ার

আজ মেসির ৩৮তম জন্মদিন: এমন মানবজনম আর কি হবে
ছবি: সংগৃহীত

শুরুটা হয়েছিল একটা স্যুটকেস থেকে কিংবা একটা ন্যাপকিন পেপার অথবা একটা বাইসাইকেল থেকে। সেসব তখন ছিল বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা। ধীরে ধীরে ঘটনাগুলো জোড়া লেগে রূপান্তরিত হলো একটা পূর্ণাঙ্গ গল্পে। স্মৃতির সেসব পাথরখণ্ড এখন গল্পের জগৎ পেরিয়ে মিথ বা কিংবদন্তিতে রূপ নিয়েছে। কে জানে, হয়তো কোনো এক মনোরম মনোটোনাস সকালে কফির মগ হাতে মনে মনে সেই স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসেন রূপকথার সেই মহানায়ক, যাঁকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এই অনবদ্য গল্পগাথা।

রূপকথার সেই গল্পের মহানায়কের নামটা যে লিওনেল মেসি, তা বোধ হয় আলাদা করে না বললেও চলে। আজ ৩৮তম জন্মদিনে মেসি কি আরেকবার সেসব রূপকথার দিকে ফিরে তাকাবেন? হয়তো তাকাবেন, হয়তো না। কিন্তু আমরা তো কাঁটায় হেঁটে মুকুটের সন্ধান পাওয়া সেই গল্পটার দিকে ফিরে তাকাতেই পারি।

একজন মানুষের দেবদূত হয়ে ওঠার যাত্রাটা আরেকবার দেখে নিয়ে বলতে পারি, ‘এমন মানবজনম আর কি হবে।’ নাহ, এমনটা সব সময় হয় না। কখনো কখনো হয়, কদাচিৎ কেউ কেউ আসেন প্রকৃতির বর নিয়ে। যাঁর হাতে প্রকৃতি তুলে দেয় হ্যারি পটারের সেই জাদুর ছড়ি, যা মুহূর্তেই মাটিকে বদলে দিতে পারে হীরকখণ্ডে।

‘মেসি’ নামের এই মহাকাব্যটা লেখা শুরু হয়েছিল ৩৮ বছর আগে আজকের এই দিনে। কিন্তু এই গল্প যেন আর কখনোই শেষ হওয়ার নয়। অনন্তকাল ধরে বিনি সুতার মালায় গাঁথা হতে থাকবে সেই গল্পটা। প্রজন্মের পর প্রজন্ম বয়ে বেড়াবে এক অলৌকিক জাদুকরের গল্প, যে গল্পে একজন মানুষ ভীষণ কঠিন এক লড়াই শেষে পান করবেন অমরত্বের সঞ্জীবনী।

রোজারিওর পারানা নদীতে ছোট্ট মেসি যেভাবে মন্থর গতিতে জাহাজগুলোর বয়ে যাওয়া দেখতেন, সেভাবে বয়ে যাওয়াই অমরত্বের পরের ঘটনা। মেসি এখন সেই নির্লিপ্ত সময়টাই পার করছেন, সেই জাহাজগুলোর মতোই বয়ে যাচ্ছেন। তাই তিনি বলতে পারেন, ‘ফুটবলের কাছে আমার আর কোনো চাওয়া–পাওয়া নেই। আমি সব পেয়ে গেছি।’ কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই বলেই হয়তো মাঠে নেমে মেসি এখন নির্ভার, আয়েশি এক যুবক। যা তাঁর খেলাকে পরিণত করেছে অলস সৌন্দর্যে।



banner close
banner close