
দেশের দুই শীর্ষ ক্রীড়া ফেডারেশন ফুটবল ও ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা প্রায়ই আইসিসি ও ফিফার জুজুর ভয় দেখান। ফারুক আহমেদ নিজে পদত্যাগ না করায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পরিচালক মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে। এতে তার সভাপতি পদ নেই। এটা অনেকে সরকারি হস্তক্ষেপে আইসিসিরি নিষেধাজ্ঞা বা নির্দেশনার শঙ্কা করলেও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া জানিয়েছেন, সকল কিছুই হয়েছে গঠনতন্ত্র আলোকে এবং আইসিসির সঙ্গে আলোচনা করেই।
রোববার হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে জাতীয় হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ক্রীড়া উপদেষ্টা সরকারি হস্তক্ষেপের বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।
তিনি বলেন, ‘জোরপূর্বক সভাপতি অপসারণ হয়নি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সরকার বা এনএসসির যতুটুক ক্ষমতা ততটুকুই করা হয়েছে। ফারুক আহমেদকে সভাপতি পদ থেকে এনএসসি সরায়নি। এনএসসি তাকে পরিচালক মনোনয়ন দিয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতি ও ক্রিকেটের স্বার্থে সেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে। এই এখতিয়ার এনএসসির রয়েছে। পরিচালক পদ প্রত্যাহার হওয়ায় এর আফটার ইফেক্ট সভাপতি।’
বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয় পরিচালকদের সভায়। সেখানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোনো এখতিয়ার নেই। সেটা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ফারুক আহমেদকে পরিচালক হিসেবেই মনোনয়ন দিয়েছিলাম। বিসিবির পরিচালকবৃন্দ তাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছেন। এভাবেই আমিনুল ইসলামকেও আমরা পরিচালক মনোনয়ন দিয়েছি বিসিবির পরিচালকরা তাকে সভাপতি করেছে। সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের জন্য আইসিসি থেকে নিষেধাজ্ঞা এসেছিল। বাংলাদেশে কোনো অতিরিক্ত সরকারি হস্তক্ষেপ হয়নি বলে মন্তব্য আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়ার।
আইসিসির সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের আইসিসির সঙ্গে প্রপারলি যোগাযোগ হয়েছে। যিনি এখন সভাপতি হয়েছেন তিনিও আইসিসিতে দীর্ঘ সময় কাজ করে এসেছেন। কোনো কমিউনেকশন গ্যাপ আমাদের দিক থেকে নেই। আইসিসি এটিকে সাধুবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান ক্রিকেটের অবস্থা আইসিসির অজানা নয়, সেই জায়গা থেকে তারাও নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়েছে।’
আরও পড়ুন: