শনিবার

১৭ মে, ২০২৫
৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
২০ জিলক্বদ, ১৪৪৬

নতুন অধিনায়কে বাংলাদেশের নতুন যাত্রা শুরু আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ মে, ২০২৫ ১১:১৯

শেয়ার

নতুন অধিনায়কে বাংলাদেশের নতুন যাত্রা শুরু আজ
ছবি: সংগৃহীত

শারজায় দুই ফরম্যাট মিলিয়ে ১১ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় মাত্র একবার। নবম চেষ্টার পর গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে কাঙ্ক্ষিত জয় পেয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে ম্যাচটি ছিল ওয়ানডে সংস্করণে। বিপরীতে টি-টোয়েন্টিতে ওই সংস্করণে তিন ম্যাচের একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। ওই তিন ম্যাচের চেয়ে খানিকটা সহজ প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে এবার মাঠে নামবে লিটন দাসের দল। পরাজয়ের গ্লানি ঘোচানোর চেষ্টার দিনে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পূর্ণ অধিনায়ক হিসেবে নিজের অধিনায়কত্ব মিশন শুরু করবে লিটন দাস। আগে কয়েক দফায় ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামলেও এবার লিটন থাকবেন ভারমুক্ত।

শারজা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৯টায়। দীর্ঘ ১৪৬ দিনের বিরতির পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো খানিকটা অপরিচিত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাঠে নামবে লিটন দাসের দল। এখন পর্যন্ত দলটির টি-টোয়েন্টিতে দলটির বিপক্ষে তিনবার মাঠে নেমে সবগুলোতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ ২০২২ সালে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল।

আরব আমিরাত সিরিজ দিয়ে শুরু হবে ‘নতুন’ বাংলাদেশের সূচনা। নাজমুল হোসেন শান্তর কাঁধ থেকে অধিনায়কত্বের দায়িত্বভার উঠেছে লিটনের কাঁধে। তাতে ওপেনিং থেকে শুরু পুরো ব্যাটিংয়ে অর্ডারে থাকবে পরিবর্তনের ছোঁয়া। অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়ে তিনে ব্যাটিং করবেন লিটন। ফলে ওপেনিংয়ে তানজিদ তামিমের সঙ্গী হতে পারেন নাজমুল হোসেন শান্ত কিংবা সৌম্য সরকার। মিডল অর্ডারে তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলি। ওপেনিংয়ে জায়গা না হলে শান্তকেও দেখা যেতে পারে মিডল অর্ডারে। লোয়ার মিডল অর্ডারে শামীম পাটোয়ারির সঙ্গে ঝড় তুলতে পারেন সদ্যই সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া শেখ মাহেদি ও রিশাদ হোসেন।

বোলিংয়ে বাংলাদেশ ভরসা থাকবে পেসারদের ওপর। মোস্তাফিজুর রহমান ছাড়াও শরিফুল ইসলাম ও তানজিম সাকিব থাকবেন বোলিং আক্রমণের মূল ভরসা হিসেবে। রিশাদ হোসেন-শেখ মাহেদিরা থাকবেন স্পিন আক্রমণে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দলের চাওয়া থাকবে স্পিন বোলিংয়ে তাদের সেরা পারফরম্যান্স। সংযুক্ত আরব আমিরাত সিরিজে পেস আক্রমণ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ আছে বাংলাদেশের সামনে। মোস্তাফিজ-শরিফুল আর তানজিম সাকিবের পাশাপাশি স্কোয়াডে রয়েছেন নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদও। ফলে বাড়তি চাপ এড়াতে পেসারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোর সুযোগ আছে বাংলাদেশের।

অন্যদিকে ১৪৩ দিন পর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামবে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওয়ানডে সংস্করণে দারুণ ছন্দে থাকা দলটি সম্প্রতি জায়গা করে নিয়েছে এশিয়া কাপে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল প্রায় একই হওয়ায় নিজেদের সেরাটা দেওয়ার অপেক্ষায় আছে। সাম্প্রতিক সময়ে দলটির চিন্তার কারণ অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমের রানে না থাকা। তার ওপরই নির্ভর করছে মূলত দলটির ব্যাটিং কেমন হবে। কারণ বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের স্কোয়াডে পাঁচ নতুন ক্রিকেটারকে দলে ডেকেছে আরব আমিরাত। দলটির বোলিং আক্রমণের ভরসা জুনায়েদ সিদ্দিকিকে রাখা হয়নি স্কোয়াডে।

দুই দলের অভিজ্ঞতার এই বিশাল ফারাকে অবশ্য উইকেট রাখছে না কোনো প্রভাব। শারজার উইকেট সব সময়ই থাকে ব্যাটারদের পক্ষে। পাশাপাশি ছোট বাউন্ডারিতে ব্যাটারদের জন্য বড় শটে রান করাটাও তুলনামূলক সহজ। এসব সুবিধাতে শারজায় টি-টোয়েন্টিতে হরহামেশাই হয় ১৭০-১৮০ রান। সেই সুবিধা কাজে লাগিয়ে বড় রান করতে পারলে যে কোনো দলের জন্যই জয় পাওয়া হবে সহজ হয়ে উঠবে। শারজার মাঠের এই সুবিধার কথা বেশ ভালোভাবেই জানা আছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকবারই এই মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। এবার সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে কি না সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

banner close
banner close