
টিকিট নিয়ে যে কাড়াকাড়ি পড়বে, আগের রাতেই তা বোঝা গিয়েছিল। লিওনেল মেসিকে দেখতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল নাইট পার্টি, ইন্টার মিয়ামির টিম হোটেলের সামনে জড়ো হয়েছিল হাজারো জনতা। সেই উত্তেজনা মাঠেও চলল। সান জোসে আর্থকুয়েকসের বিপক্ষে ৬ গোলের থ্রিলার চলল। মাঠ পূর্ণ থাকল দর্শকে, ক্ষণে ক্ষণে গর্জে উঠল একটি ধ্বনি, ‘মেসি, মেসি...’
পেপাল পার্ক তথা বে এরিয়াতে এবারই প্রথমবার খেলতে এসেছেন মেসি। বৃহস্পতিবার দর্শকদের মাতামাতিও ছিল বেশ। ১৮ হাজার ধারণক্ষমতার মাঠটি কানায় কানায় পূর্ণ থাকল। মেসি অবশ্য ম্যাচে গোল পাননি। কয়েকটি সহজ সুযোগ মিস করেছেন। তার দলও পারেনি জিততে। মেজর লিগ সকারের ম্যাচটি সমাধান হয়েছে ৩-৩ গোল ব্যবধানে।
ম্যাচের শুরু থেকে শেষ অবধি মাঠে ছিলেন মেসি। সহজ সুযোগ পেয়েছেন অন্তত চারটি। কাজে লাগাতে পারেননি একটিও। অবশ্য মিয়ামি এদিন ৪০ সেকেন্ডের মাঝেই গোল পেয়ে যায়। দর্শকরা যতক্ষণে সিটে ঠিকঠাক বসে উঠতে পারেনি ততক্ষণে বল দুইবার জড়িয়ে গেছে জালে। ম্যাচ শুরুর মিনিটেই প্রতিপক্ষের ডিবক্সের পাশে ঢুকে পড়েন মেসি। সেখানে কারিকুরি করে বল দেন মাঝমাঠে।
এরপর দ্রুতই আক্রমণ চলে আসে ডিবক্সে। ম্যাক্সিমিলিয়ানো ফ্যালকন আলতো পায়ের ছোঁয়ায় বল জড়িয়ে দেন জালে। মিয়ামির সেই উদযাপন টেকে মিনিট খানেক। খেলা ২.১১ সেকেন্ডের মাথায় প্রতিপক্ষের গোল। ক্রিস্টিয়ানো আরানগো পান জালের দেখা।
১৭ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার বড় সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু এমএলটেন সহজ সুযোগ হারান হেলায়। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ৩৬ মিনিটে গোল খেয়ে বসে মিয়ামি। ৩৯ মিনিটে আরেকবার সুযোগ পান মেসি। এবারও ব্যর্থ। ফাঁকায় পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেনি। তার দুর্বল হেড সরাসরি যায় গোলরক্ষকের হাতে। ৪৪ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান তাদেও আলেনদে। বিরতির আগে ইয়ান হারকেস সান জোসেকে এগিয়ে দেন।
বিরতির পর তাদেও আবারও পান জালের দেখা। তার জোড়া গোলে ৩-৩ ব্যবধান হয়। ৬১ মিনিটে বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি সান জোসের। ম্যাচের একেবারে শেষ সময়ে আরেকটি সহজ সুযোগ হেলায় হারান মেসি। এবার একা পেয়েছিলেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে। তবে জোড়াল ছিল না শট, বল যায় সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে। তাতেই ড্রর হতাশায় থামতে হয় মেসির মিয়ামিকে।
আরও পড়ুন: