শুক্রবার

৯ মে, ২০২৫
২৬ বৈশাখ, ১৪৩২
১২ জিলক্বদ, ১৪৪৬

পাক-ভারত উত্তেজনায় আইপিএল স্থগিত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ মে, ২০২৫ ১৪:১৪

আপডেট: ৯ মে, ২০২৫ ১৪:১৪

শেয়ার

পাক-ভারত উত্তেজনায় আইপিএল স্থগিত
আইপিএল ট্রফি। ছবি : সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার জেরে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট লিগ আইপিএলের চলতি আসর আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর শুক্রবার  গোটা টুর্নামেন্টই আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)।

টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, পাকিস্তান থেকে ছোড়া আটটি ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে প্রতিহত করার পর থেকেই গোটা পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও বিদেশি খেলোয়াড়দের উদ্বেগের বিষয়টি মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

বিসিসিআই সূত্রে খবর, বোর্ড বৃহস্পতিবার রাত থেকেই একাধিক বৈঠক করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। বিসিসিআই’র এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ‘দেশের বর্তমান আবেগ ও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা—দুইয়ের কথাই মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

এর আগে ধর্মশালার আকাশপথ বন্ধ থাকায় পাঞ্জাব কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল আহমেদাবাদে। কিন্তু বৃহস্পতিবার ধর্মশালায় পাঞ্জাব ও দিল্লির ম্যাচ স্থগিত করার পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে।

দুই দলই সেই রাতে হোটেলে ফিরে যায় এবং পরদিন সকালেই একটি বিশেষ ট্রেনে খেলোয়াড়, অফিসিয়াল ও সম্প্রচার দলের সদস্যদের সরিয়ে আনা হয়।

বিসিসিআই সহসভাপতি রাজীব শুক্লা বলেন, ‘আমরা সব দলের নিরাপদে ফিরে আসার ব্যবস্থা করেছি। ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে, স্টেডিয়ামও খালি করে দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার।’

জানা গেছে, লখনৌ অবস্থানরত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলের মধ্যেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং তারা দেশে ফিরে যেতে চায়। অন্যদিকে, গুজরাট টাইটান্স ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আগেই দিল্লি ও আহমেদাবাদ পৌঁছে গিয়েছিল।

বিদেশি খেলোয়াড়দের অনেকে বিসিসিআই ও ভারত সরকারের কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন। যদিও সরাসরি কোনো হুমকি আইপিএল ভেন্যুগুলোর ওপর ছিল না, তবে দেশের সামগ্রিক মনোভাব ও সতর্ক অবস্থার কারণেই আপাতত টুর্নামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত।

এখন চোখ বিসিসিআই’র পরবর্তী ঘোষণার দিকে—আইপিএল পরবর্তীতে চলবে, নাকি এবারের আসর পুরোপুরি বাতিল হবে, তা নির্ভর করবে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর।

banner close
banner close