বৃহস্পতিবার

১ মে, ২০২৫
১৮ বৈশাখ, ১৪৩২
৪ জিলক্বদ, ১৪৪৬

তামিমের শারীরিক অবস্থার সবশেষ নিয়ে যা জানালেন চিকিৎসকরা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ, ২০২৫ ১৮:০৮

আপডেট: ২৭ মার্চ, ২০২৫ ১৮:৫০

শেয়ার

তামিমের শারীরিক অবস্থার সবশেষ নিয়ে যা জানালেন চিকিৎসকরা
তামিম ইকবাল। ছবি : সংগৃহীত

হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর কোল থেকে ফেরার পর এখন ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে তামিম ইকবাল। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ৪৮ ঘণ্টা পর বাসায় ফিরতে পারবেন দেশের সর্বকালের সেরা ওপেনার।

এভারকেয়ার হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রুটিন চেক-আপের পর সংবাদ সম্মেলনে ইতিবাচক খবর দেন চিকিৎসক আরিফ মাহমুদ। তামিমের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কথা জানান কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র পরামর্শক প্রফেসর শাহাব উদ্দিন তালুকদার।

তামিমের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য প্রফেসর শাহাব উদ্দিনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আরিফ মাহমুদ জানান, বৃহস্পতিবারই সিসিইউ (কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট) থেকে ছাড়া পেয়ে সাধারণ শয্যায় যাবেন তামিম।

“বোর্ড মিটিংয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তামিম খুব ভালো আছেন। খাওয়াদাওয়া করছেন, সবার সঙ্গে কথা বলছেন। আজকে সিসিইউ থেকে তিনি রুমে চলে যাবেন। এরপর এক বা দুই দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তারপর তিনি বাসায় যেতে পারবেন।”

বৃহস্পতিবার সকালে রুটিন চেক-আপের অংশ হিসেবে ইকোকার্ডিওগ্রাফ ও অন্যান্য খুঁটিনাটি পরীক্ষা করানো হয় তামিমের। সেসব রিপোর্ট দেখে সবকিছু ভালো থাকার কথা বলেন প্রফেসর শাহাব উদ্দিন।

কিছুক্ষণ আগে আমরা ইকোকার্ডিওগ্রাফ করেছি। হার্টের মুভমেন্ট সামান্য কমেছে। অন্যান্য সবকিছু যেমন আছে, তিনি খুব ভালো জীবনযাপন করতে পারবেন। ক্রিকেটে তিনি ফিরবেন কী ফিরবেন না, সেটা ৩-৪ মাস পর আমরা কার্ডিয়াক টিম ও ফিজিও বসে, তামিমের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে বলতে পারব।”

মেডিকেল বোর্ডের প্রধান জানালেন, এত অল্প বয়সে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক করার ব্যাপারটি মানতে পারছেন না তামিম।

“তামিমের যেটা হলো, ও এটাকে (হার্ট অ্যাটাক) নিতে পারছে না। সাইকোলজিক্যালি মানতে পারছে না। এটা হবে, সে কল্পনা করতে পারেনি। তবে এটার কিন্তু অনেক ইতিহাস আছে। অনেক খেলোয়াড় মাঠে খেলার সময় মারা গেছে, অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছে।”

অন্যান্য চিকিৎসার পাশাপাশি তাই একজন মনোবিদের তত্ত্বাবধানে কাউন্সিলিংও করা হচ্ছে তামিমের।

“মানসিক অবস্থার জন্য আমরা একজন কাউন্সিলর সম্পৃক্ত করেছি। এটার সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতে (কাউন্সিলর) ওর জিজ্ঞাসাগুলো শুনবে, ওর প্যানিক শুনবে। তারপর সেভাবে ওই কাউন্সিলর নির্দেশনা দেবেন।”

“এই বয়সে হার্ট অ্যাটাক হবে, সে এটা কীভাবে মানবে! মাত্র ৩৬ বছর বয়স। মেনে নেওয়া খুব কঠিন। তবে মানিয়ে নিতে হবে। এজন্যই আমরা কাউন্সিলিং শুরু করেছি। আমরাও কার্ডিয়াক কাউন্সিল করছি, পুনর্বাসন চলছে। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।”

banner close
banner close