
চারিদিকে শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির জয়জয়কার। এআই’র জনপ্রিয়তা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে ততই বাড়ছে এআই-ভিত্তিক বিভিন্ন টুলের আগমনও। চ্যাটজিপিটি, জেমিনি, কোপাইলটের মতোই জেনারেটিভ এআই-ভিত্তিক নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসছে আইফোন নির্মাতা অ্যাপল।
‘ভাইব কোডিং’ নামে একটি সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য অ্যাপল ইতোমধ্যেই এআই প্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিকের সাথে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে। গতকাল (২ মে) সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গেছে।
‘ভাইব কোডিং’ প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে এআই প্রযুক্তির সহায়তায় কোড লেখা, এডিট করা ও পরীক্ষা করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এক্ষেত্রে যারা প্রোগ্রামার তাঁদের যেমন সুবিধা হবে তেমনি সাধারণ ব্যবহারকারীরাও কোডিংয়ের মতো জটিল কাজ সহজেই করে নিতে পারবেন, ঠিক যেভাবে কনটেন্ট জেনারেট করা হয় বিভিন্ন এআই টুল ব্যবহার করে।
‘ভাইব কোডিং’ হচ্ছে প্রোগ্রামিংয়ের এমন একটি পদ্ধতি যেখানে কোড জেনারেট করে থাকে এআই এজেন্ট। এই পদ্ধতিটির জনপ্রিয়তা দ্রুতই বৃদ্ধি পাচ্ছে এআই’র জগতে। অ্যাপলের প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার ‘এক্সকোড’-এর আপডেটেট সংস্করণ হচ্ছে নতুন এই এআই কোডিং সিস্টেমটি। অ্যানথ্রপিকের তৈরি ক্লদ সনেট এআই মডেলটিকেও সমন্বয় করা হবে নতুন এই প্ল্যাটফর্মে।
তবে ব্লুমবার্গ নিউজের প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে অ্যানথ্রপিক কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং অ্যাপল তাৎক্ষণিক কোনো প্রত্যুত্তর করেনি।
বিষয় সম্পর্কে অবগত সূত্রের বরাত দিয়ে তৈরি ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, অ্যাপল প্রাথমিকভাবে সফটওয়্যারটিকে নিজেদের প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। তবে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে কি-না এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি তাঁরা।
এর আগে অ্যাপল তাঁদের প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার এক্সকোডের জন্য ‘সুইফট অ্যাসিস্ট’ নামের একটি এআই কোডিং টুল তৈরির ঘোষণা দিয়েছিল, যেটা ২০২৪ সালে রিলিজ করার কথা ছিল। তবে এই টুলটির কারণে অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের প্রক্রিয়া ধীর হয়ে আসতে পারে- অ্যাপল প্রকৌশলীদের এমন উদ্বেগের কারণেই টুলটি আর আলোর মুখ দেখেনি।
এআই প্রযুক্তির কোডিং অ্যাসিসট্যান্টগুলো দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গত মাসে ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই ৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে এআই কোডিং টুল উইন্ডসার্ফ কিনে নিতে চাইছে। এ বিষয়ে আলোচনাও শুরু করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
জেনারেটিভ এআই’র বাজারে নিজেদের একটি শক্ত অবস্থান তৈরির লক্ষ্যে অ্যাপল বিভিন এআই প্রতিষ্ঠানকে অংশীদার হিসেবে বেছে নিচ্ছে এবং নিজেদের সার্ভিস আরও উন্নত করতে বিভিন্ন অন-ডিভাইস এআই ফিচারও যুক্ত করছে। এই যেমন সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের পণ্যে ওপেনএআই’র তৈরি এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিকে সমন্বয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: