চাঁদ দেখলে অনেকে আবেগ বা আনন্দ থেকে “চাঁদকে সালাম” বলেন বা ইশারা করেন। সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও বিভ্রান্তি দেখা দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে—ইসলাম এ বিষয়ে কী বলে?
ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলামের মৌলিক আকিদা হলো—ইবাদত, সেজদা, দোয়া ও উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট। কুরআনে আল্লাহ স্পষ্টভাবে বলেছেন:
“সূর্যকে সেজদা করো না, চন্দ্রকেও না; সেজদা করো আল্লাহকে, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন।”
(সূরা ফুসসিলাত, আয়াত ৩৭)
এই আয়াতের ভিত্তিতে সকল ইসলামি আলেম একমত যে চাঁদকে সেজদা করা, তার কাছে কিছু চাওয়া, বা তাকে কোনো অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী মনে করা হারাম ও শিরক।
তাহলে “চাঁদকে সালাম” বলা কি হারাম?
এখানে গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্থক্য আছে—
যদি “চাঁদকে সালাম” বলা হয় কেবল ভাষাগত বা সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি হিসেবে, যেমন কারো সৌন্দর্যের তুলনা বা আনন্দ প্রকাশ—
➤ এতে ইবাদতের নিয়ত না থাকলে তা শিরক নয়।
কিন্তু যদি সালাম দেওয়ার অর্থ হয় সম্মানসূচক ইবাদত, মাথা নত করা, সেজদা, বা বিশ্বাস করা যে চাঁদের কোনো ক্ষমতা আছে—
➤ তাহলে তা স্পষ্টভাবে হারাম ও শিরক।
রাসূল ﷺ কী করতেন?
রাসূল মুহাম্মদ ﷺ চাঁদ দেখলে চাঁদের দিকে সালাম দিতেন না। বরং তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। প্রমাণিত হাদিসে এসেছে, নতুন চাঁদ দেখলে তিনি আল্লাহর কাছে কল্যাণ, ঈমান ও নিরাপত্তার দোয়া করতেন। অর্থাৎ, চাঁদ উপলক্ষ হলেও মুখ ফেরানো হতো আল্লাহর দিকেই।
আলেমদের মতামত
সমসাময়িক ও প্রাচীন আলেমদের মতে:
মুসলমানদের উচিত এমন শব্দ ও আচরণ পরিহার করা যা আকিদাগত বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে
বিশেষ করে শিশু ও সাধারণ মানুষের মাঝে, কারণ এতে ভুল বিশ্বাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে
ইসলামের মূল শিক্ষা হলো—সব সম্মান, সব সালাম, সব ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য।
আরও পড়ুন:








