বৃহস্পতিবার

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩ পৌষ, ১৪৩২

ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর কাছে যে পুরস্কার পাবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট, ২০২৫ ২১:০৩

আপডেট: ২৭ আগস্ট, ২০২৫ ২৩:১৫

শেয়ার

ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর কাছে যে পুরস্কার পাবেন
ছবি: প্রতিকি

মানব জাতিকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করে দিয়েছেন। কাউকে করেছেন শাসক আবার কাউকে করেছেন শাসিত।

পৃথিবীর সুন্দর পরিচালনার জন্য এমন স্তর নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে শাসকদের ইনসাফভিত্তিক কার্য পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।

শাসন ক্ষমতা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে দেওয়া অপার নেয়ামত। আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দান করেন, আবার যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নেন।

পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে: ‘বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’(সুরা আলে ইমরান: ২৬)

ন্যায়পরায়ণতার গুরুত্বঃ

ন্যায়পরায়ণতার গুরুত্ব অপরিসীম। শাসকের মৌলিক দায়িত্ব কর্তব্য হলো ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে জনগণের অধিকার আদায় এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। মহান রব পবিত্র কুরআনে ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন।

পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে: নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়-স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।’(সুরা নাহ্‌ল:৯০)

ন্যায়পরায়ণ শাসকের পুরস্কারঃ

আখেরাতে ন্যায়পরায়ণ শাসককে মহা পুরস্কারে ভূষিত করা হবে। কেয়ামতের দিন যখন মানুষ উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরবে তখন আল্লাহ তায়ালা ন্যায়পরায়ণ শাসকগণকে তার ছায়ায় আশ্রয় দিবেন: আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তার (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তার ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)। (বুখারি:১৪২৩)



banner close
banner close