শুক্রবার

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩ পৌষ, ১৪৩২

খুনিদের ফেরত না দিলে ভারতের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নয়: নাহিদ ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০৩:৪৩

শেয়ার

খুনিদের ফেরত না দিলে ভারতের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নয়: নাহিদ ইসলাম
সংগৃহীত ছবি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ওসমান হাদির হত্যার সঙ্গে জড়িতরা যদি ভারতে আশ্রয় নিয়ে থাকে, তবে তাদের দেশে ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো ধরনের সম্পর্ক থাকা উচিত নয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে সংহতি জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। সমাবেশে সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও উপস্থিত ছিলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, এই আন্দোলন শুধু একজন নেতার হত্যার বিচার চাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ রক্ষার সংগ্রাম। তিনি দাবি করেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণ কেবল আওয়ামী লীগ নয়, বরং দীর্ঘদিন ধরে দেশে সক্রিয় ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও রায় দিয়েছে।

তার ভাষ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের পর থেকেই ভারত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে আসছে, আর দেশের বড় বড় রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলন মূলত এই আধিপত্যের বিরুদ্ধেই গড়ে উঠেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর এ লড়াই থেকে আর পিছু হটার সুযোগ নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, শরিফ ওসমান হাদি শাহবাগ থেকেই তার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। তার লড়াই ছিল বিদেশি আগ্রাসন ও বিশেষ করে ভারতীয় প্রভাবের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণ দেশে বিদ্যমান ভারতীয় এস্টাবলিশমেন্টের বিরুদ্ধেও স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

আন্দোলনকারীদের শান্ত ও নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, তবে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা বা গুলি চালানো হলে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করেন, আন্দোলনের ভেতরের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে নাশকতার চেষ্টা হতে পারে, তাই বিভক্ত না হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

সমাবেশে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ দাবি করেন। স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এতে ডাকসুর সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতারাও অংশ নেন।



banner close
banner close