জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পোস্টার প্রকাশ্যে টাঙানো হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচনে পোস্টার টাঙানো নিষিদ্ধ করেছে এবং আমি সেই নির্দেশনা মেনে কোনো পোস্টার ব্যবহার করিনি।
পোস্টে একটি ছবি সংযুক্ত করে তাসনিম জারা বলেন, তিতাস রোডের দেয়ালসহ খিলগাঁও, গোড়ান, সবুজবাগ ও মুগদা এলাকায় অন্যান্য প্রার্থীদের পোস্টারে দেয়াল ছেয়ে গেছে।
তার ভাষ্য, এটি দু-একটি পুরোনো পোস্টারের বিষয় নয়; বরং সচেতনভাবে ও দাপটের সঙ্গে আইন অমান্য করা হচ্ছে, যা দেখলেই বোঝা যায়।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে- সৎ প্রার্থীদের নির্বাচনি মাঠ থেকে আড়াল করে দেয়ার একটি কৌশল নেয়া হয়েছে। আইন মেনে চলার কারণে এলাকার দেয়ালে তার কোনো উপস্থিতি নেই, অথচ যারা আইন মানছে না, তাদের ছবি সবার চোখের সামনে।
একই সঙ্গে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আইন লঙ্ঘনকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার সদিচ্ছা তিনি দেখছেন না বলেও মন্তব্য করেন।
নতুন দল হিসাবে এনসিপির প্রতীক ‘শাপলা কলি’ ভোটারদের কাছে পরিচিত করে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন ডা. জারা। তার অভিযোগ, পোস্টার নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় এই সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
এনসিপির এই নেত্রী আরও বলেন, ওসমান হাদীর ওপর গুলির ঘটনাকে নির্বাচন কমিশন যেভাবে ‘স্বাভাবিক ঘটনা’ হিসাবে উল্লেখ করেছে, তা তাদের শঙ্কিত করেছে।
চোখের সামনে পোস্টারের এই ‘বেআইনি মহোৎসব’ চললেও কমিশনের নীরবতা উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তার আশঙ্কা, নির্বাচনের দিন সহিংসতা বা ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটলেও কমিশন তা উপেক্ষা করতে পারে।
পোস্টের শেষে তাসনিম জারা বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের তৈরি হওয়া ‘আন-ইভেন প্লেয়িং ফিল্ড’ কীভাবে সংশোধন করে, সে বিষয়ে জানতে তিনি অপেক্ষা করবেন।
আরও পড়ুন:








