জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, পরিবর্তিত বাংলাদেশের জনগণ এখন শাসন ব্যবস্থারও পরিবর্তন চায়। বিভিন্ন সময়ে চলমান ঘুষ, দুর্নীতি আর দুঃশাসনেরও অবসান চায়। সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও স্থিতিশীলতা চায়। জামায়াতে ইসলামীও ঠিক তেমনি একটি কল্যাণমুখী ও সমৃদ্ধিশালী রাষ্ট্র গড়তে চায় যেখানে দুর্নীতি আর দুঃশাসন বন্ধ হবে। সব ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে ইনশাআল্লাহ।
মঙ্গলবার খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর ইউনিয়নের ৭ ও ৯নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত কল্যাণ রাষ্ট্রের রূপরেখা বাস্তবায়নে আপনারাই সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের এই আহ্বান পৌঁছাবেন। ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানাবেন।
বিভিন্ন দলের শাসন ব্যবস্থার উদাহরণ টানতে গিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে আপনারা বিভিন্ন দলের শাসন দেখেছেন। কিন্তু স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ কি পেয়েছেন? দুর্নীতি আর দুঃশাসন, গুম, খুন, বিরোধী দল ও মতের ওপর নির্যাতন, নিষ্পেষণ দিয়ে ভরপুর ছিল সে শাসন। বারবার শাসক পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। তাইতো দেশের জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে জামায়াতে ইসলামী দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান পরিবর্তিত বাংলাদেশে কল্যাণমুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। ঘোষিত রূপরেখা হলো সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা হবে। মানুষের মাঝে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। নতুন নতুন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে শিক্ষিত বেকার যুবকদের হয় কর্মসংস্থান, না হয় বেকার ভাতা দেওয়া হবে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। বাস্তবমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নে টেকসই ও উন্নত জাতি গঠন করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকলের সহাবস্থান নিশ্চিত করা হবে। ছাত্র রাজনীতি হবে কল্যাণমুখী, দলের লেজুড়বৃত্তিক নয়। প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে ন্যায্যতার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা হবে। সরকারের এমপি, মন্ত্রীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে, যাতে তারা রাষ্ট্রের মালিক না ভেবে নিজেদের রাষ্ট্রের সেবক ভাবে। শাসক নয়, জনগণই হবে রাষ্ট্রের মালিক। এসময় তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে কাজ করে রাষ্ট্রের মালিক হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:








