শুক্রবার

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে অবহেলার শিকার এটিএম কামাল

ফয়সাল আহমেদ

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:১১

আপডেট: ২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:২০

শেয়ার

নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে অবহেলার শিকার এটিএম কামাল
ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল। সংগঠনের নিবেদিত, পরিচ্ছন্ন ও মাঠের রাজনীতির অন্যতম গ্রহণযোগ্য মুখ হিসেবে তার পরিচিতি দীর্ঘদিনের। আন্দোলন-সংগ্রাম ও দলীয় আনুগত্যে তিনি ছিলেন সবসময় সামনের সারিতে। সাধারণ কর্মীদের কাছে আজও তিনি জনপ্রিয় একজন নেতা।

কিন্তু শেষ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তৎকালীন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমূর আলম খন্দকারের প্রধান নির্বাচন এজেন্ট হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকে বিএনপির প্রায় সব বিতর্কিত নেতাই শাস্তি থেকে মুক্তি পেলেও বাদ পড়েছেন কেবল এটিএম কামাল।

গত এক বছরে একাধিক আলোচিত নেতা দল বেইমানির অভিযোগ নিয়ে ফিরে এসেছেন বিএনপিতে। সেলিম ওসমানের পক্ষে কাজ করা শওকত হাশেম শকু, আতাউর রহমান মুকুল, এমনকি নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা আলমগীর হোসেনও ফিরে পেয়েছেন দলীয় পদ। কিন্তু এটিএম কামালের বহিষ্কারাদেশ এখনো বহাল।

বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, লাঙ্গল-নৌকা সমর্থন করা নেতারা ফিরে এলেও দলে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে না এটিএম কামালকে। অথচ তিনি কখনো ভিন্ন দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেননি, নিজ দলের প্রার্থীর পক্ষেই ছিলেন। তাদের ভাষায়, ‘তার অপরাধ তুলনামূলক কম, কিন্তু সাজা হয়েছে সবচেয়ে কঠিন।’

দলের ভেতরের সূত্র জানায়, তৈমূর ও এটিএম কামাল একই সাথে বহিষ্কার হলেও পরবর্তীতে তৈমূর যোগ দেন তৃণমূল বিএনপিতে এবং ওই দলের মহাসচিব হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিতর্কের জন্ম দেন। অন্যদিকে এটিএম কামাল সবসময় দলীয় আদর্শে স্থির থেকেছেন এবং একজন সাধারণ সমর্থকের মতোই বিএনপির পাশে ছিলেন।

নির্বাচনের আগে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের যে ঢেউ দেখা গেছে, সবার ধারনা ছিলো এবার হয়তো কামালও ফিরবেন। কিন্তু এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে অনেকে বলছেন, এটি ‘লঘু পাপে গুরুদণ্ড’।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এটিএম কামালের মতো পরীক্ষিত নেতৃত্বকে ফিরিয়ে আনা হলে দল যেমন শক্ত হবে, তেমনি বিরুদ্ধাচরণে বিভক্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্যও ফিরবে। মহানগর বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকটেও তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।



banner close
banner close