এনসিপি, এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও আপ বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন রাজনৈতিক জোটগঠন হতে চলেছে। এই জোটে যুক্ত করতে দর কষাকষি চলছে গণঅধিকার পরিষদ, গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা কয়েকটি দলের সাথেও।
সম্ভাব্য নতুন এই জোটের নাম হতে পারে জুলাই জোট বা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট কিংবা তৃতীয় ধারার সমমনা জোট।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন, ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ ও চাঁদাবাজিবিরোধী অবস্থান নতুন জোটের লক্ষ্য। শরীক নেতারা জানান, জোট গঠনের পাশাপাশি বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতের সাথে নির্বাচনী সমঝোতায় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, একসাথে নির্বাচন করার পরিকল্পনা আমাদের আছে। কিন্তু সেখানে আসন প্রাধান্য পাবে না, অঙ্গীকার বাস্তবায়নের বিষয়টাকে প্রাধান্য দিবো। পুরনো দলগুলোর মধ্যে যদি কোনও সম্ভাবনাময় প্রার্থী থাকে তাহলে ভালো, আমরা হয়তো মনে করছি যে, উনি আমাদের জুলাই অভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেছেন, এ রকম কাউকে কাউকে আমরা সমর্থন দিতে পারি।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, প্রত্যেকটা দলের প্রবণতা ও মতাদর্শ জানি। এই ভিন্নতা কাটিয়ে ওঠেই একসাথে যাব। জোট হলে এই জোট যা কিছু করবে একসাথেই করবে। এই জোট যাকে সমর্থন দেবে বা যাদের সাথে যাবে তাদের সরকার গঠন করার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। ফলে সংস্কারের ক্ষেত্রে কোনও ধরনের চলচাতুরি যেন না থাকে।
জোটের পক্ষ থেকে সমঝোতার ভিত্তিতে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে দলগুলো। বড় কোনও দলের সাথে আসন সমঝোতা হলেও নির্বাচনের মাঠে লড়বে জোট নিয়েই। তবে এই জোটের সব দল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত নয়। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন, কোন প্রতীকে নির্বাচন করবে তারা?
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বললেন, এই বিষয়ে এখনও বিস্তারিত আলাপ হয়নি। আমরা দলীয়ভাবেই সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের দলীয় ফোরামে আলোচনাটা তুলে রাখছি। আপাতত চিন্তা, একটি স্বতন্ত্র জায়গা তৈরি করা।
আরও পড়ুন:








