শুক্রবার

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪ পৌষ, ১৪৩২

দেশ রক্ষায় গণভোটের বিকল্প নেই: এটিএম আজহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৫২

শেয়ার

দেশ রক্ষায় গণভোটের বিকল্প নেই: এটিএম আজহার
এটিএম আজহারুল ইসলাম

দেশ রক্ষায় গণভোটের কোনো বিকল্প নেই বলে দাবি করেছেন রংপুর-২ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী, দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম।

শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে রংপুর পৌর শহরে এক নির্বাচনি প্রচারণাকালে তিনি এমনটা দাবি করেন।

এ সময় তার কর্মী-সমর্থকরা সাহাপুর মাঠ থেকে এক বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করেন।

শোভাযাত্রায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আজাহারুল ইসলাম বলেন, সাড়ে চার মাস ধরে বদরগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছি। সব জায়গায় ভালো সাড়া পাচ্ছি। নারীদের সবচেয়ে বেশি সাড়া পাব ইনশাল্লাহ।

তিনি বলেন, এলাকায় অনেক সংস্কার কাজ করেছি। যেহেতু আমি জনগণের জন্য নির্যাতিত ছিলাম এজন্যই তারা আমাকে ভোট দেবে।

স্থানীয় প্রশাসনের অনেকে বিশেষ একটা দলের পক্ষে কাজ করে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আমরা সব সময় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দাবি করে আসছি। সরকারি চাকরি যারা করেন, তারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করলে এবং এটা অব্যাহত থাকলে আমার এলাকায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে ইনশাআল্লাহ।

গণভোটের বিষয়ে এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলো সবাই এতে স্বাক্ষর করেছি। আমরা মনে করি, গণভোট হলে অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। আমাদের হাতে সময় অল্প। এজন্য একসঙ্গে ভোট এবং গণভোটের সময় হবে না। যেহেতু গণভোটে আমরা সবাই রাজি হয়েছি, তাহলে কেনো গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে হবে না। করলে সমস্যাটা কোথায়? এখনো আমাদের দাবি, জাতীয় নির্বাচনের আগেই যেন গণভোট করা হয়। কারণ- দেশ রক্ষায় গণভোটের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, আমি সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন পাচ্ছি। যেহেতু তরুণ প্রজন্ম একটা বিপ্লব করে সরকারকে হটিয়েছে, তাই এখানে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ অনেক বেশি। তরুণ-যুবক-বৃদ্ধ-নারী এবং অমুসলিমদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি ভোটে। ভোটের পরিবেশ অত্যন্ত অনুকূলে।

এটিএম আজহার আরও বলেন, নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম রাস্তাঘাট তৈরি করব। যে সমস্ত রাস্তাঘাট হয়নি প্রশাসনকে বলে করার চেষ্টা করেছি। যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৈষম্যের শিকার এবং এমপিওভুক্ত হয়নি সেগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখবো ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, বদরগঞ্জে একটি সুগার মিল বন্ধ রয়েছে। নির্বাচিত হলে চেষ্টা করব আইনি কোনো সমস্যা না থাকলে সুগার মিলটি চালু করার। যাতে আমার এলাকার শত শত লোক চাকরি করতে পারে। এখানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে, কিন্তু আমাদের এখানে গরিব লোকজন বেশি। আমি ইতোমধ্যে একটা হাসপাতাল করেছি। যেখানে শত শত লোক চাকরি করছে। নির্বাচিত হলে বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ দুই উপজেলায় দুটি হাসপাতাল আধুনিকায়ন করা হবে, যেন ঠিকমতো রোগীরা সেবা পায়। সুলভ মূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে।



banner close
banner close