নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ–সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানকে ঘিরে বিতর্ক থামছে না। মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে মহাসড়কে বিক্ষোভে নামে স্থানীয় লোকজন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় এলাকায় রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
এলাকার সাদীপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি কামরুজ্জামান ভূঁইয়া মাসুম এবং যুবদল নেতা কায়সারের মধ্যে দীর্ঘদিনের কোন্দল আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, এ নিয়ে সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
এতে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে বলছেন, দলের প্রতি আস্থা কমে যাচ্ছে।
গত ৪ নভেম্বর সনমান্দি ইউনিয়নের অলিপুরা বাজারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মান্নানের জামাতা মাসুম বিল্লাহ বলেন— সাবধান, হুঁশিয়ার, লাস্ট ওয়ার্নিং। এরপর কোনো ওয়ার্নিং হবে না। আজহারুল ইসলাম মান্নানের পক্ষে কাজ করতে হবে। ব্যত্যয় হলে অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।
এই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। জামাতার মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক থামার আগেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে আজহারুল ইসলাম মান্নানের একটি কথোপকথনের অডিও। অভিযোগ–ঢাকার পুরানা পল্টনে এক সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকটি মান্নানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, এবং তাঁর ছেলে মেঘনার টোল প্লাজা দখলের অভিযোগ তুললে মান্নান বলেন— সারা বাংলাদেশেই বিএনপির পোলাপান করে। ঢাকাতে মির্জা আব্বাসের পোলাপান হগল করে। দেখতে চান আপনে?
তিনি আরও বলেন— আগে গিয়া নিজেরা তদন্ত কইরা বাহির করেন, তারপর লিখেন। আপনের লগে তর্ক করতে রাজি না। এরপর তিনি ফোন কেটে দেন। অডিও ফাঁস হওয়ার পর বিএনপির স্থানীয় নেতাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুর রহমান স্বপন বলেন— তিনি কিসের ভিত্তিতে এমন মন্তব্য করলেন, বুঝতে পারছি না। নেতাকর্মীদের নিয়ে এ ধরনের কথা বলা বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করেছে। আমরা ব্যাপকভাবে অপমানিত হয়েছি।
এ বিষয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন— ফোনে কিছু বলতে চাই না। সামনে এসে কথা বলেন।
ফাঁস হওয়া অডিওর বিষয়ে তিনি দাবি করেন— যে সাংবাদিকের সাথে আলাপ ভাইরাল হয়েছে, তিনি আমার প্রতিপক্ষের বানানো সাংবাদিক।
আরও পড়ুন:








