বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে ঝালকাঠি শহরে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়নবঞ্চিতদের সমর্থকরা মশাল মিছিল বের করেন। একই সময়ে বিএনপি মনোনীত ঝালকাঠি-দুই (সদর-নলছিটি) আসনের প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টোর সমর্থকরাও শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি শোডাউনে স্থানীয় রাজনীতিতে বিভাজন আবারও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
সোমবার সন্ধ্যায় শহরের সাধনার মোড় থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টোর সমর্থকরা একটি মিছিল বের করেন।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মিলন খলিফা, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি দ্বীন ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. শাওন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি নাজমুল হাসান নয়ন, জেলা যুবদলের মো. সালেহ হাসান, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সুমন সরকারসহ হাজারো নেতাকর্মী।
এদিকে একই সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শহরে পেট্রোলপাম্প এলাকা থেকে জেলা বিএনপির একটি অংশ মশাল মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পূর্বচাঁদকাঠিতে গিয়ে বিক্ষোভ করে। এতে অংশ নেয় ১০০-১৫০ জন নেতাকর্মী। বক্তব্য দেন, ফারুক সরদার ও নয়ন মুন্সী।
বিক্ষোভে বক্তারা অভিযোগ করেন, ইলেন ভুট্টো অতীতে আন্দোলনে ছিলেন না এবং তিনি সংস্কারপন্থি ছিলেন। তাদের দাবি দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা মাহাবুবুল হক নান্নু বা কেন্দ্রীয় নেত্রী জেবা আমিনা খান, এই তিনজনের মধ্যে কাউকে প্রার্থী করা উচিত। ইলেন ভুট্টো জাতীয় পার্টি পরিবারের সদস্য। আন্দোলনের দিন তাকে পাওয়া যায়নি। তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হবে।
তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মশাল মিছিলকে নৈরাজ্য হিসেবে দেখছে। দলের একটি অংশ বলছে, ইলেন ভুট্টোকে লক্ষ্য করে মশাল মিছিল করা সাংগঠনিক শৃঙ্খলার পরিপন্থি।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার পাল্টাপাল্টি মিছিল নিয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে মশাল মিছিল করা সম্পূর্ণ দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়া। কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নেবে, সবাইকে তা মেনে চলতে হবে। বিভাজন সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:








