ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় আজ। এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নাশকতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ যেন কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে, সেই লক্ষ্য নিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী দলগুলো মাঠে থাকবে। বিএনপিও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দলগুলো বলছে, কোথাও জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিহত করবে।
ফ্যাসিবাদ বিরোধী নেতারা বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। তারা জানান, হাজার হাজার মানুষ গুম, খুন ও হত্যার শিকার হয়েছে। তাদের দাবি, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ভয়াবহ গণহত্যা চালানো হয়েছে। নেতারা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পর শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তারপরেও তারা থামেনি। তারা বলেন, একের পর এক নাশকতা চলছে। ১৩ নভেম্বর ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে আগুনসহ সহিংসতা হয়েছে। আজকের রায়কে কেন্দ্র করে নতুন করে নাশকতার শঙ্কা রয়েছে। এই কারণে তারা রাজপথে সতর্কভাবে থাকবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার বিরুদ্ধে যেটা হয়েছে তার রায় বের হবে। এই নিয়ে চরম একটা অনিশ্চয়তা, একটা আতঙ্ক সারা দেশে বিরাজ করছে। একটা মহল বাংলাদেশে আবার নৈরাজ্য সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশের ছাত্রদের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন নষ্ট না হয়। গণতন্ত্রের উত্তরণের পথ কেউ যেন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, এজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।’ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, তারা সারা দেশে সতর্কভাবে মাঠে থাকবেন। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হলে প্রতিহত করবেন।
৮ দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী’র সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘নাশকতা ঠেকানোর দায়িত্ব মূলত সরকারের। তবে আমাদের নেতাকর্মীরা আগের মতোই মাঠে থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তারা পাহারা দেবে। ফ্যাসিস্টকে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন:








