জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, জিয়াউর রহমান সাহেব যে বিএনপি করেছিলেন, সে সময় বিএনপি বড় দল এবং জনপ্রিয় দল। বেগম খালেদা জিয়া যখন বিএনপির নেতৃত্বে ছিলেন, তখনো বিএনপি ছিল বড় দল এবং জনপ্রিয় দল। আজকের সার্ভে বলে বিএনপি বড় দল কিন্তু জনপ্রিয় দল নয়।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত গুনবতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি খুবই নোংরা। এটা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের শুরু থেকে। বাংলাদেশের দুইজন রাষ্ট্রপতি হত্যার শিকার হয়েছেন। কেন হয়েছিলেন, কে ছিলেন, পছন্দ ছিল কিনা, সেই বিতর্কে যাব না। কিন্তু হত্যার শিকার হবেন কেন? আজকে ৫৪ বছরে বাংলাদেশের রাজনীতি কি এ রকমই? হত্যা-খুন, চুরি, ডাকাতি, দুর্নীতি। এটি একটি বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এবার আর কোনো মাস্তানকে ভোট দেবে না। চাঁদাবাজদের ভোট দেবে না। দখলবাজদের ভোট দেবে না। মানুষ এবার রাস্তাঘাটে বলছে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ, দুই পিঠকে ভোট দেব না। আপনারা কি বোঝেন মুদ্রার এপিঠে কারা আছে আর ওই পিঠে কারা, না বুঝলে নাম বলব। জাতীয় নির্বাচনে নতুন চার কোটি ভোটার এই চাঁদাবাজ, দখলবাজ, দুর্নীতিতে তিনবার চ্যাম্পিয়ন মাশাআল্লাহ, এসব চ্যাম্পিয়নদেরকে আর ভোট দেবে না।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, বিএনপির বাইরে যত দল আছে সকলে মিলে আমরা একটি বৃহত্তর নির্বাচনী ঐক্য করার চেষ্টা করছি। এটা যদি সফল হয় আগামী নির্বাচনে এরাই সরকার গঠন করবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতা পেলে কাউকে নির্যাতন করা হবে না। এদেশের মানুষ এক নতুন বাংলাদেশ দেখবে। যেখানে কোনো সন্ত্রাস থাকবে না, কোনো দুর্নীতি থাকবে না। কারণ জামায়াতের দুইজন মন্ত্রী ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পাইনি। আর আমাকে গ্রেপ্তারের পর বার বার চেষ্টা করেও কোনো দুর্নীতি পায়নি। পরে দুদক স্বীকার করেছে, তথ্যগত
মিসগাইডের কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে জামায়াতের ৬২ জন এমপি ছিলেন, কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ হয়নি এবং মামলা হয়নি।
গুনবতী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মো. ইউসুফ মেম্বারের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য ডা. মন্জুর আহমেদ সাকির সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মু. মাহফুজুর রহমান ও জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্ম পরিষদ সদস্য ভিপি শাহাব উদ্দিন।
আরও পড়ুন:








