বিগত ১৬ বছর ফ্যাস্টিস্ট হাসিনার তান্ডবে ঘর ছাড়া ছিলো বিএনপি-জামায়াতের লাখ লাখ নেতাকর্মী। একের পর এক দেয়া হয়েছে মিথ্যা মামলা। নির্যাতিত এসব নেতাকর্মীদের একজন বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলম। তিনি ভোলা-চার চরফ্যাশন ও মনপুরা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তিন বারের সাবেক সংসদ-সদস্য নাজিম উদ্দিনের নামে গত ১৬ বছরে ২৮টি মামলাসহ চরফ্যাশন তার বাসভবনে ১৭ বার হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
শুধু তাই নয়, সাভার আমীন বাজার একালা থেকে ২৪-এর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দেন নাজিম। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলি লাগে তার গায়ে। জানা গেছে, এখনো তার লিভারে দুটি গুলি রয়েছে।
এর আগে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় যখন মামলার বাদী খুঁজে পাচ্ছিলেন না দলটি, তখন নাজিম বাদী হয়ে সাবেক ডিভি প্রধান হারুন অর রশিদ, মেহেদী ও বিপ্লব সাহা সহ অসংখ্য ফ্যাসিস্ট দোসরদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বিগত দিনে হামলা, মামলা, নির্যাতন ও এতো ত্যাগের পরেও তাকে মনোনয়ন তালিকায় না দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এনিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে কর্মী সমর্থকরা বলছেন, তৃণমূলের চোখের পানি যেন মূল্যহীন না হয়, নাজিক উদ্দিন আলমের ত্যাগের যথাযথ মর্যাদা দিতেও অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
এ বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম বাংলা এডিশনকে মুঠোফোনে বলেন, যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তিনি অত্যন্ত কনিষ্ঠ। তাকে কীভেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তিনি নিশ্চিত নন। তবে, দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এই ত্যাগী নেতা।
অভিযোগ রয়েছে, শুধু নাজিম উদ্দিন নয় সারাদেশে এমন অসংখ্য নির্যাতিত বিএনপি নেতা বাদ পড়েছে মনোনয়ন তালিকা থেকে সেখানে জায়গা পেয়েছে বিগত দিনে আওয়ামী লীগের কাছে সুবিধা নেয়া এবং দল থেকে দূরে থাকা নামধারী বিএনপি নেতারা।
বিএনপির মনোনয়ন তালিকা প্রকাশের পরই দেশের বিভিন্ন জেলায় নিজ দলের কার্যালয়ে হামলা চালায় নেতাকর্মীরা করে মহাসড়ক অবরোধ। আবার অনেকেই বলছে, দলীয় মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচন করবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে।
এনিয়ে অনেকেই বলছে, বিএনপি প্রকৃত কর্মীদের মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর প্রভাব পড়বে আগামী নির্বাচনে বলে মনে করছে তারা।
বিস্তারিত ভিডিও লিংকে: https://www.youtube.com/watch?v=TahGTx-bqSM
আরও পড়ুন:








