শুক্রবার

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪ পৌষ, ১৪৩২

শুক্রবারের মধ্যেই জুলাই সনদ ও গণভোট বাস্তবায়নের দাবি জামায়াতের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ ০৮:৫৭

শেয়ার

শুক্রবারের মধ্যেই জুলাই সনদ ও গণভোট বাস্তবায়নের দাবি জামায়াতের
জুলাই সনদ ও গণভোট বাস্তবায়নের দাবি জামায়াতের

জুলাই সনদ গণভোট বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ আগামী শুক্রবারের মধ্যেই বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মগবাজারের আলফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের দাবি জানান।

তিনি বলেন, বিএনপি শুরুতে কোনো সংস্কারই চায়নি। কিন্তু জনগণের চাপে পড়ে তারা সংস্কার কমিশনে যোগ দিয়েছে। তাদের জায়গা করে দিতে আমরা অনেকস্যাক্রিফাইসকরেছি, অনেকপয়েন্টবাদ দিয়েছি। এখন তারা নির্বাচনের দিন গণভোট চায়, যাতে গণভোট কার্যত হত্যা করা যায়। বিএনপি সংস্কার চায় কেবল তখনই, যখন এতে তাদের লাভ হয়।

পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির দাবি এবং গণভোট বাস্তবায়ন না হলে জামায়াতের পরবর্তী কর্মসূচি কী হবেএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আমাদের দাবি আদায়ের আন্দোলনের মধ্যেই আছি। আজ রাতের মধ্যে দেখি সরকার কী করে। কালও সময় আছে। তারপরের সিদ্ধান্ত কালই দেখা যাবে।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপির সংবাদ সম্মেলনের কপি আমরা পেয়েছি। তারা স্পষ্ট বলেছে, কোনোভাবেই গণভোট মানবে না। তাই সরকারকে এখনই গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। আজই ঘোষণা দিনরাতের বেলায়ও তো অনেক সময় আদেশ জারি হয়। তা না হলে জনগণের আস্থা সরকার হারাবে, যা জাতীয় নির্বাচনকেও প্রশ্নবিদ্ধ করবে।

তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেএমন ইস্যু সামনে এনে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা আস্থাহীনতার পরিবেশ যেন তৈরি না হয়। সময়ক্ষেপণ করতে করতে যদি শেষে বলা হয়, গণভোটের সময় নেইতাহলে তা হবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা।

জামায়াতের নায়েবে আমির জানান, ঐকমত্য কমিশন সব বিষয়ে ঐক্য আনার চেষ্টা করেছে। পরিশেষে ৬০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে। তিনি বলেন, সংস্কার তো প্রতিদিন হয় না। জাতীয় নির্বাচন গণভোট একসঙ্গে হওয়া সম্ভব নয়। আমরা ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন চাই, এবং তার আগে গণভোট চাই। গণভোটের রায়ের ভিত্তিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।

তিনি অভিযোগ করেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে কিছু রাজনৈতিক দল মহল বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালিয়ে পরিবেশ উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে।নির্বাচন বানচাল নিয়ে ফেসবুকে নানা অপপ্রচারও চলছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এটিএম মাছুম এবং কেন্দ্রীয় প্রচার মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ।

এর আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজনের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি রাজনৈতিক দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে স্মারকলিপি দেয়।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই সনদের টেকসই আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছি আমরা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ছাত্র-জনতার রক্তের স্বীকৃতি দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচন গণভোট একই দিনে করা সম্ভব নয়। কিছু দল প্রস্তাব করলেও আমরা আটটি দল একমত যে জুলাই সনদের স্বীকৃতির জন্য নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট শেষ করতে হবে, এরপর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।



banner close
banner close