চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তারেক রহমান প্রণীত ৩১ দফা লিফলেট বিতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা লিফলেট বিতরণে বাধা দেয়। এ সময় তারা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও মিরসরাই আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী শাহীদুল ইসলাম চৌধুরীর কর্মীদের হুমকি-ধমকি, উসকানিমূলক মন্তব্য এবং গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার করেরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীদের মুখে ‘চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সমগ্র মিরসরাইজুড়ে ধানের শীষের পক্ষে পদযাত্রা ও গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সকালে করেরহাটে আমার গণসংযোগ কর্মসূচি ছিল। এর আগে বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগে ব্যাপক জনসমর্থন পেয়েছি। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে একদল বিপথগামী ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতার অনুসারীরা আমার শান্তিপূর্ণ গণসংযোগে বাধা দেয় এবং একপর্যায়ে হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, করেরহাট ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ইয়াছিন মিজান ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবলুর নেতৃত্বে আমার শান্তিপূর্ণ গণসংযোগ এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণের সময় তারা হামলা চালায়। আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ—যে কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এড়াতে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যক্রম স্থগিত করি।
শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী আরও জানান, হামলাকারীরা সবাই বহিষ্কৃত নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের সমর্থক। দলের বিপথগামী এসব নেতাদের বিরুদ্ধে আমরা ইতোমধ্যে দলীয় সিদ্ধান্ত পেয়েছি। তাদের অপকর্মের শাস্তিস্বরূপ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু তাদের অপতৎপরতা এখনো বন্ধ হয়নি। প্রশাসন যেন দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়,আমরা সেই আহ্বান জানাচ্ছি।
অন্যদিকে করেরহাট ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ইয়াছিন মিজান বলেন, করেরহাটে প্রতি রবিবার ও বুধবার বাজারে ধানের শীষের পক্ষে আমাদের নিয়মিত কর্মসূচি থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল ১০টায় আমাদের কর্মসূচি ছিল। সাঈদ ভাইয়ের কর্মসূচি ছিল সেটা আমরা জানতাম না। আগে জানালে প্রয়োজনে আমাদের কর্মসূচি পিছিয়ে দিতাম। উভয় পক্ষের কর্মসূচি একই সময়ে হওয়ায় কর্মীদের মধ্যে সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়েছে, এর বেশি কিছু না।
আরও পড়ুন:








