বুধবার

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২ পৌষ, ১৪৩২

আসন ভাগাভাগি নিয়ে ঐক্যের পথে ছয় ইসলামি দল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১০:২৬

শেয়ার

আসন ভাগাভাগি নিয়ে ঐক্যের পথে ছয় ইসলামি দল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসন ভাগাভাগি ও নির্বাচনি সমঝোতার মাধ্যমে ঐক্যের পথে হাঁটছে দেশের ছয়টি ইসলামি দল। গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে ইসলামি দলগুলো নিজেদের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে এক হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই ছয়টি দল আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি এবং সংস্কার ও বিচারব্যবস্থার উন্নয়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করছে। পাশাপাশি একক ভোটব্যাংক গড়ে তুলতে তারা আসন ভাগাভাগির আলোচনাতেও ব্যস্ত সময় পার করছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী জাতীয় নির্বাচনে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা হলে প্রায় ১০০ আসন ছাড় দিতে পারে বলে জানিয়েছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

গত ৩ অক্টোবর খুলনায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যেসব আসনে জামায়াতের জয়ের সম্ভাবনা কম বা কখনো নির্বাচন করেনি, সেসব আসন আমরা ছাড় দিতে পারি। যদিও ৩০০ আসনের জন্য প্রার্থী প্রস্তুত রাখা হয়েছে, তবে সমঝোতার ভিত্তিতে হয়তো ১০০ আসন পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগরের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রথমবারের মতো ইসলামি দলগুলো এক বাক্সে ভোট আনার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, যেমন বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের অবস্থান ভালো, সেখানে জামায়াত প্রার্থী দেবে না। আবার কক্সবাজার, পাবনা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা বা অনুরূপ এলাকায় জামায়াতের শক্তি বেশি থাকলে অন্য ইসলামি দল প্রার্থী দেবে না। এভাবেই পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে প্রার্থী নির্ধারণ হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন, আমরা দেখবো কোন দলের সাংগঠনিক শক্তি, প্রার্থীর মান ও জনসমর্থন সবচেয়ে ভালো। এসব বিবেচনায় প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে। সব দলেরই ত্যাগের মানসিকতা থাকা জরুরি।”

তিনি আরও বলেন, তফসিল ঘোষণার আগেই সব সমঝোতার কাজ শেষ করতে চাই। তফসিল ঘোষণার পরই নির্বাচনি সমঝোতা চূড়ান্ত হবে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালউদ্দীন আহমদ বলেন, প্রতিটি আসনে প্রার্থীর অবস্থান ও জনসমর্থনই মূল বিবেচ্য হবে। তবে ছোট দলের আমির বা কেন্দ্রীয় নেতাদেরও প্রার্থী নির্বাচনে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, যাতে ঐক্য অটুট থাকে।

সমঝোতায় থাকা দলগুলো

বর্তমানে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনায় রয়েছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।

ইসলামি দলগুলোর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকেই এই দলগুলো একক ভোটব্যাংক তৈরিতে কাজ করছে।

অন্যদিকে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছে।

বিএনপির সঙ্গে জোটের গুঞ্জন

মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের বিএনপির সঙ্গে জোটে যাওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন থাকলেও দলটি তা অস্বীকার করেছে।

গণমাধ্যমে বিএনপির সঙ্গে জোটের খবর প্রকাশিত হলেও সেগুলো বানোয়াট। এ বিষয়ে ২৫ অক্টোবর দলের মজলিসে শুরা ও সাধারণ পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।



banner close
banner close