৫-দফা দাবির দ্রুত বাস্তবায়ন উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা।
রবিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় স্মারকলিপি প্রদানের আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্তভাবে উক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, 'দেশে এখনো পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী অবিলম্বে এসব দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট ধাঁচের নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন করে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পিআর পদ্ধতি চালু করা জরুরি। যদি আগের মতো একতরফা নির্বাচনী ব্যবস্থা বহাল থাকে, তবে ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে' বলে তারা সতর্ক করেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, 'জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের আলোচনায় প্রায় সব দল পিআর পদ্ধতি ও অন্যান্য সংস্কার বিষয়ে একমত হলেও একটি দল পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করে আসছে।' তাদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, 'এক ফ্যাসিস্টের পরিবর্তে আরেক ফ্যাসিস্ট দেখতে চায় না এদেশের জনগণ। ফ্যাসিবাদের আরেক রূপ ধারণের স্বপ্ন দেখলে জনগণ তা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করবে।'
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন না হয়, তবে আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে জনগণ।”
পরে জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা আমীর হাফেজ আব্দুল আলীম, শহর শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল আজিজসহ জেলা ও উপজেলা জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, গণভোট আয়োজন, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সুপারিশ কার্যকর, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু এবং রাজনৈতিক দলসমূহের অগণতান্ত্রিক কার্যক্রম বন্ধে আইন প্রণয়ন ও আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকে করা সহ ৫-দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
জেলা আমীর মাওলানা আবু জার গিফারীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী জোনের সহকারী পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক মেয়র অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক লতিফুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুখলেসুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু বকর, পৌর আমীর হাফেজ গোলাম রাব্বানী সহ জেলার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন:








