ব্যক্তিত্ব, সততা, দূরদর্শী চিন্তা ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা ও দলের একনিষ্ঠ সংগঠক ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু। সবার প্রিয় মুখ এই নেতার মৃত্যুতে নেতা-কর্মীরা শোকাহত। তাই আজ সোমবার তার শেষ বিদায়ে নেমেছিল নেতা-কর্মীসহ জনতার ঢল।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে তাঁর দাফন করা হয়। জানাজায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিজিএমইএর সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু, সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পিটু ও খালিদ মাহমুদ মিল্টন, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সভাপতি শরিফ উর জামান সিজার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ মালিক, চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ তালহা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাজাহান খান ও সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতাসহ প্রতিটি ইউনিটের বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিলেন।
অভিজ্ঞ নেতৃত্ব, মানবিক মনোভাব এবং অবিরাম পরিশ্রমী এই নেতার জানাজা শেষে নেতৃবৃন্দ তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।
জানাজায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু ছিলেন চুয়াডাঙ্গা বিএনপির প্রাণভোমরা। তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ, সাহসী ও ত্যাগী নেতা। দলের কঠিন সময়ে তিনি আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন। তার মৃত্যু বিএনপির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
বিজিএমইএর সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, শিপলু ভাই ছিলেন সংগঠনের ভিত্তি নির্মাতা। তৃণমূলের নেতা তৈরিতে তার ভূমিকা ছিল অসামান্য। আমরা তার স্বপ্ন ও আদর্শ ধরে রাখব।
জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, তিনি ছিলেন দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ সৈনিক। কখনো ব্যক্তিস্বার্থ দেখিনি। তার নাম ইতিহাসে থাকবে অম্লান।
যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা মমিনুল ইসলাম মন্ডল বলেন, দেশের বাইরে থেকেও আমি তার কাজের খবর রাখতাম। তিনি ছিলেন একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও ত্যাগী নেতা। বিএনপি আজ একজন সত্যিকারের সংগঠক হারাল।
জেলা যুবদলের সভাপতি শরিফ উর জামান সিজার বলেন, শিপলু ভাই ছিলেন আমাদের প্রেরণার উৎস। তার মতো নেতাই পারে একটি প্রজন্মকে আন্দোলনের পথে এগিয়ে নিতে।
সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু বলেন, তিনি ছিলেন তরুণ রাজনীতিকদের আইডল। তার হাসি, তার কাজ—সব কিছুই আমাদের অনুপ্রেরণা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ তালহা বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীদের তিনি ভালোবাসতেন পিতার মতো। তার মতো নিবেদিত নেতা পাওয়া কঠিন।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাজাহান খান বলেন, ছাত্রদল থেকেই তিনি উঠে এসেছিলেন নেতৃত্বের আসনে। তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থে সংগঠনের রোল মডেল। সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা বলেন, আমরা শুধু একজন নেতা নয়, একজন অভিভাবককে হারালাম। তার দেখানো পথে হাঁটলেই দল এগিয়ে যাবে।
নেতা-কর্মীরা বলেন, মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু ভাই ছিলেন চুয়াডাঙ্গা বিএনপির এক অমূল্য সম্পদ। তার মতো নিবেদিতপ্রাণ, সৎ ও দায়িত্বশীল নেতা আজ বিরল। তার মৃত্যুতে আমরা সবাই গভীরভাবে শোকাহত। আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন—আমিন।
আরও পড়ুন:








