চব্বিশে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় যে তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে, তাকে কেন্দ্র করে "বাংলা বসন্ত" এখন একটি বৈশ্বিক আলোচনার বিষয়বস্তু। সেই ধারাবাহিকতায় আফ্রিকার কয়েকটি দেশেও দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের জাগরণ লক্ষ করা যাচ্ছে। এই সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃবৃন্দের জাতিসংঘ সফর এবং সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির সম্মানিত সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান করেন। সেখানে তাঁরা বিশ্বের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বর্তমান প্রজন্মের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা ও গণতান্ত্রিক চেতনার বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা "বাংলা বসন্তের" নেতা হিসেবে নিজেদের ভাবনা ও রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরেন বৈশ্বিক পরিসরে।
আজ তাঁদের দেশে ফেরার পর একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই সফরের অভিজ্ঞতা, সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও অর্জন তুলে ধরার কথা ছিল। কিন্তু এর মাঝেই এনসিপির কিছু কর্মী ও সাংবাদিকদের মধ্যে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে, যা দলটির পক্ষ থেকে গভীর দুঃখ ও উদ্বেগের সঙ্গে গৃহীত হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও মিডিয়া সেলের সদস্য খান মুহাম্মদ মুরসালীন এক বিবৃতিতে জানান, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। এনসিপির পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে প্রমাণ সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আমাদের অবিচ্ছেদ্য সহযাত্রী। এনসিপি ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও সতর্ক থাকবে এবং মিডিয়া সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।”
সংবাদ সম্মেলনের শেষভাগে তিনি দেশের সকল সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে সার্বক্ষণিক পাশে থাকার জন্য সকল সাংবাদিক ভাই-বোনদের প্রতি এনসিপির পক্ষ থেকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আশা করি, আগামীতেও আমরা আপনাদের পাশে পাব।”
আরও পড়ুন:








