জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত এবং জনমনে আতঙ্ক তৈরি করতে কয়েকটি জেলা থেকে ঢাকায় এসেছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা ঝটিকা মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। ঝটিকা মিছিলে অংশ নেয়ার সময় বুধবার এবং মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় আড়াইশ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শেরেবাংলা নগর, তেজগাঁও, বনানী ও উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের করা হয়।
বুধবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এসএন নজরুল ইসলাম।
এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মিছিল করে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর পান্থপথে মিছিল শুরু করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। মিনিট কয়েক স্থায়িত্ব ছিল মিছিলটির। পরে পুলিশ এসে পানি ভবন এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেল উদ্ধার করে। এছাড়া ফার্মগেট, সংসদ ভবন, শেরেবাংলা নগর, হাতিরঝিল ও গুলিস্তান এলাকায় মিছিলের ভিডিও আওয়ামী লীগের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীর হোটেল-ফ্ল্যাট-ছাত্রাবাসে আওয়ামী লীগের কর্মী থাকলে পুলিশকে তথ্য দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এসএন নজরুল ইসলাম বলেন, ঝটিকা মিছিল চলাকালে ও মিছিলের প্রস্তুতির সময় বুধবার আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ২৪৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ককটেল ও ব্যানার উদ্ধার করা হয়। ঝটিকা মিছিলে অংশ নিতে ঢাকায় এসে গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে অধিকাংশই ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর ও গোপালগঞ্জের।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে শান্তিশৃঙ্খলা নষ্টের ষড়যন্ত্র করছে। ডিএমপির ধারাবাহিক অভিযানে এর আগে এই ধরনের মিছিল থেকে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:








