আওয়ামী লীগকে দলগতভাবে বিচারের আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে বিচারের মধ্য দিয়েই তাদের ফয়সালা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
রবিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। এদিন ৪৭ নম্বর সাক্ষী হিসেবে তাকে জেরা করেন স্বৈরাচার হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।
নাহিদ বলেন, ‘নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। কেননা তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই বিচারের আওতায় এনেই দলগত হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ অস্থায়ী সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগকে টেকাল দেয়া যাবে না। এ ছাড়া ফ্যাসিবাদের দোসরদেরও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানাবো। আদালতের কাছে এখন যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ এসেছে। কারণ দলীয়প্রধান ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তাই জনগণই প্রতিরোধ করে তাকে উৎখাত করেছেন। ফলে রাজনৈতিকভাবে এটা আওয়ামী লীগের সংঘটিত অপরাধ।’
এজন্য দল হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনা উচিত। এ ছাড়া গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন এই সাক্ষী।
এদিন বেলা ১১টার পর দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রাইব্যুনালে নাহিদের জেরা শুরু হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় জেরা শেষে তিনি প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন:








