ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মনির ইউ জ্জামান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
যমুনা টেলিভিশনের একটি ফটোকার্ড পোস্টে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বক্তব্য উদ্ধৃত করে লেখা হয়— “বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে আরেকটি মওদুদী পন্থী দলের প্রয়োজন নেই। ইতিমধ্যে অর্ধডজন প্রক্সি কাজ করছে। নতুন কিছু যোগ করিয়েন না, বরং পুনঃনির্ধারণ, পুনর্গঠন আর পুনরুদ্ধার করুন।”
এই পোস্টের নিচে মনির ইউ জামান কমেন্ট করেন— “তোমার কপালে জুতার বারি অপেক্ষা করতেছে মনু। তুমি উপদেষ্টার পদে বসে একটি দলকে নিয়ে মিথ্যাচার করতেছো। তুমি এই পদের যোগ্য নও। নিজের ইচ্ছায় পদত্যাগ করো। নচেৎ জুতার বারি দিয়ে তোমাকে ওখান থেকে নামানো হবে।”
মনির উজ্জামানের এমন মন্তব্য মুহূর্তেই স্ক্রিনশট আকারে ভাইরাল হয়ে যায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। মনিরুজ্জামান জেডএ ভূট্টো ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক।
এ নিয়ে সুবিদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাগর হোসেন নিজের প্রোফাইলে স্ক্রিনশটটি শেয়ার করে লিখেছেন— “এটাই জামাতের আসল চরিত্র। পতিত লীগের লোকজনের দ্বারা উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বারবার আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
জামাত নেতাদের মন্তব্যে স্পষ্ট, এসবের পিছনে উগ্র মনোভাবাপন্ন জামাত নেতারাই জড়িত।”
এদিকে সাধারণ মানুষও প্রশ্ন তুলেছেন, সরকারের চাকরি করে একজন কলেজ প্রভাষক কীভাবে সরকারের একজন উপদেষ্টাকে জুতার বারি দেওয়ার হুমকি দেন। উক্ত ঘটনা ঘিরে এলাকায় এবং সামাজিক মাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচন।
এ বিষয়ে জামায়াতের নেতা প্রভাষক মনির ইউ জামান অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, সে গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্টে দায়িত্বরত আছেন। তার মুখে এধরণের কথা বেমানান। তিনি কোন রাজনৈতিক দলের উপদেষ্টা না, তিনি একটা নিরপেক্ষ সরকারের উপদেষ্টা তিনি এধরণের কথা বলতে পারে না। এছাড়াও তার খুব অল্প বয়স আমার চেয়েও জুনিয়র কিন্তু তারপর ও তার ঐ চেয়ারে বসে ভেবে চিন্তে কথা বলতে হবে। উনি যদি ছেলেপেলের মতো কথা বলে তাহলে তো হবে না। তাকে বুঝে শুনে কথা বলতে হবে।
এ বিষয়ে নলছিটি উপজেলা জামায়াতের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ওইটা তো আসলে আমাদের সাংগঠনিক বা আমাদের কোনো মতামত না, ওইটা তো হয়তো অন্য কেউ লিখতে পারে অথবা তার ব্যক্তিগত মত হইতে পারে, ওইটা আমাদের কোনো সাংগঠনিক বা আমার কোনো ই না।
আরও পড়ুন:








