জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিধানে নতুন শর্ত যুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। খসড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বলা হয়েছে কোনো ব্যক্তি আদালত কর্তৃক ফেরারি ঘোষিত হলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন। মঙ্গলবার ইসি এ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
এখন পর্যন্ত কেবল সাজাপ্রাপ্তরা নির্বাচনে অযোগ্য হতেন। নতুন বিধান কার্যকর হলে মামলার শুনানিতে অনুপস্থিত থেকে পলাতক ঘোষিতরাও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে আওয়ামী লীগের বহু নেতা আসন্ন নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে পড়বেন, কারণ তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় আদালত ইতোমধ্যে ফেরারি ঘোষণা দিয়েছে।
খসড়ায় আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়েছে। যেমন-
১. অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সুযোগ বাতিল করা হয়েছে কেবল সরাসরি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়া যাবে।
২. একক প্রার্থী থাকলে সেখানে ‘না ভোট’ চালু হবে।
৩. চসেনা, নৌ, বিমানবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা।
৪. হলফনামায় দেশি-বিদেশি সম্পদের তথ্য গোপন করলে সংসদ সদস্যপদ বাতিল করা হবে।
৫. নির্বাচনি জামানত বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে, সরকারি চাকরিজীবী ও কারাগারে আটক ব্যক্তিরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। একইসঙ্গে এআই-এর অপব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
ইসির চূড়ান্ত খসড়া এখন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে, পরে অধ্যাদেশ আকারে জারি হলে নতুন বিধান কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন:








