রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

ধামরাইয়ে জামায়াতের জনসভা; পাশে মন্দির পাহারায় জামায়াতের কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:০৬

শেয়ার

ধামরাইয়ে জামায়াতের জনসভা; পাশে মন্দির পাহারায় জামায়াতের কর্মীরা
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার ধামরাইয়ে ঢাকা-২০ (ধামরাই) সংসদীয় আসন কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ধামরাই পৌরসভার যাত্রাবাড়ি মাঠে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

জনসভা চলাকালীন সময়ে দেখা যায় ভিন্নতা। যাত্রাবাড়ি মাঠের পূর্ব পাশে রয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপাসনার একটি মন্দির। জনসভা চলাকালীন সময়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্দির যেন কেউ কোন ক্ষতি করতে না পারে তাই জামায়াতের প্রায় ৮-১০ জন কর্মীরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে মন্দির পাহারার পাহারায় দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

জামায়াতের জনসভায় হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিচ্ছেন জামায়াতের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা না গেলেও নিজ দ্বায়িত্বে অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার মানসিকতায় এই পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধু তাই নয় রাস্তায়ও রয়েছে শত শত স্বেচ্ছাসেবী কর্মী। কয়েক হাজার লোকের জনসভা হলেও নেই রাস্তায় কোন যানযট। এটাও ব্যতিক্রমি দৃশ্য।

মন্দির পাহারার দ্বায়িত্বে রয়েছেন ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের জামায়াতের আমীর মো:মন্দির পাহারার দ্বায়িত্বে রয়েছেন ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের জামায়াতের আমীর মো: নজরুল ইসলাম বলেন, অন্য ধর্মের হলেও তারা আমাদের ভাই। তাই একই মাঠে জনসভা হচ্ছে। পাশেই হিন্দুদের মন্দির। দলের নির্দেশে আমরা এই মন্দির পাহারা দিচ্ছি। জনসভা চলাকালীন সময়ে কেউ যেন মন্দিরের কোন ক্ষতি করতে না পারে। শুধু তাই নয় জনসভার আশে পাশে রাস্তায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে নিরাপত্তা। সবই আমাদের জামায়াতের কর্মী।

কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, এই যাত্রাবাড়ি মাঠে সকল রাজনৈতিক দলের জনসভা হয়। কিন্তু কখনো দেখিনি দলের কর্মী দিয়ে হিন্দু ধর্মের মন্দির পাহারা দিতে। এটি ব্যতিক্রমি একটি দৃশ্য।

স্থানীয় বাসিন্দা এ্যাডভোকেট নুর মোহাম্মদ বলেন, ধামরাইয়ে অনেক রাজনৈতিক দল জনসভা করেছে মন্দির পাহাড়া দেওয়া ব্যতিক্রম ধর্মী একটা উদ্যোগ। অন্য ধর্মকে এমন সম্মান প্রদর্শন রাজনৈতিক দল হিসেবে ভাল কাজ করেছে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের বিপ্লব পাল বলেন, মন্দির পাহাড়া দিচ্ছে দেখে ভাল লাগছে। আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে কোন বৈষম্য থাকবে না। যার যার ধর্ম সে পালন করবে।



banner close
banner close