রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

এখন মানুষ জামায়াতে ইসলামীর দিকে তাকিয়ে আছে: মুজিবুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:০৪

শেয়ার

এখন মানুষ জামায়াতে ইসলামীর দিকে তাকিয়ে আছে: মুজিবুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

সকল সরকারই ইসলামের সাথে গাদ্দারি করেছে। এখন মানুষ জামায়াতে ইসলামীর দিকে তাকিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নেত্রকোণা জেলা পাবলিক হল মিলনায়তনে নেত্রকোণা জেলা জামায়াতে ইসলামীর ষান্মাসিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, জীবন দিয়ে হলেও এদেশে কুরআনের আইন বাস্তবায়ন করব। আমরা চেষ্টা করছি ইসলামের পক্ষে একটি ভোট বাক্স দেয়ার। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হলে এটা বাস্তব রূপ নেবে ইনশাআল্লাহ।

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, এ দেশের সকল মানুষের ভোটের মূল্যায়ন করার জন্য উত্তম পদ্ধতি হলো পিআর পদ্ধতি। আমরা চাই যে এক পার্সেন্ট ভোট পাবে তারও ভোটের মূল্যায়ন হোক। কেউ ২৫ পার্সেন্ট ভোট পেল,অন্যরা ২৪ বা ২৩ পার্সেন্ট পেলেও তারা সরকারে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। ৭৫ পার্সেন্ট ভোটারের ভোট নষ্ট হয়। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করলেও জাতির ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন তো জামায়াতের আমির সাহেবের দাবি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করেই আমরা নির্বাচনে যাব। কোনো ভোট ডাকাতের হাতে দেশকে ছেড়ে দেব না। ভোটকেন্দ্র ও ভোট বাক্স পাহাড়া দিতে হবে। জামায়াত এদেশের মানুষকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দেবে।

জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা ছাদেক আহমাদ হারিছের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ড. ছামিউল হক ফারুকী, নেত্রকোণা-৪ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও ময়মনসিংহ মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আল হেলাল তালুকদার, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও নেত্রকোণা-৩ আসনে জামায়াতের প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন সাইফুল, সহকারী সেক্রেটারি ও নেত্রকোণা-৫ আসনে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক মাছুম মোস্তফা, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও নেত্রকোণা-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাসিম, জেলা শ্রমিক বিভাগের সভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিন প্রমুখ।

পুরো জেলা থেকে প্রায় ৬ শতাধিক পুরুষ ও নারী রোকন সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।



banner close
banner close