জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারকে সংগঠনের সকল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে পুনর্বহাল করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে পূর্বে জারি করা শোকজ নোটিশও প্রত্যাহার করেছে দলটি।
শনিবার রাতে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ জুন সারোয়ার তুষারকে নৈতিক স্খলনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি দলের আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, রাজনৈতিক পর্ষদ এবং শৃঙ্খলা কমিটির কাছে লিখিত জবাব দাখিল করেন।
দলীয় পর্যবেক্ষণ ও নিষ্ক্রিয়তা
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শোকজ নোটিশের পর সারোয়ার তুষার স্বেচ্ছায় দুই মাস যাবৎ দলের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত ছিলেন। এ সময়ে তিনি জুলাই মাসের দেশব্যাপী পদযাত্রা,জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমে প্রতিনিধিত্ব,মিডিয়ায় দলের অবস্থান উপস্থাপন ও নরসিংদীর পদযাত্রাসহ সকল কর্মসূচি থেকে নিজেকে বিরত রাখেন।
শোকজ প্রত্যাহার ও পুনর্বহাল
সার্বিক বিবেচনায়, সারোয়ার তুষারের লিখিত ব্যাখ্যা, উপস্থাপিত আলামত এবং তার কার্যকর নিষ্ক্রিয়তা মূল্যায়ন করে তাকে পুনরায় সকল সাংগঠনিক দায়িত্ব ও কর্মকাণ্ডে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে শোকজ নোটিশটি প্রত্যাহার করা হয়।
ঘটনার পটভূমি
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে দলের একজন নারী নেত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর, যিনি দাবি করেন, অডিওটি ছিল ৪৭ মিনিটের হলেও তিনি ৩ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের অংশ প্রকাশ করেন।
ঘটনার পরদিন এনসিপি আনুষ্ঠানিকভাবে সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায়। এতে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের ব্যাখ্যা আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন-এর কাছে চাওয়া হয়।
তাকে দলীয় রাজনৈতিক পর্ষদ এবং তদন্ত কমিটির কাছে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়।
দুই মাস পর, দলের অভ্যন্তরীণ তদন্ত ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:








