গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং বাম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট থেকে ডাকসুতে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তাসনিম আফরোজ ইমি
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এবং সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য করার প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। এতে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান তার ফেসবুক পোস্টে এমনটাই দাবি করেছেন।
পোস্টে রাশেদ খান লেখেন, ডাকসুতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য করা হবে। কিন্তু নুরুল হক নুর ও আখতার হোসেন মিটিংয়ে উপস্থিত হওয়ার আগে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেন যে, তারা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করবেন।
তিনি জানান, মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে নুরুল হক নুর ও আখতার হোসেন শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্য করার প্রশ্নে ভেটো দেন। রাশেদ খানের মতে, শেখ হাসিনার এই ‘অসম্মান’ তার সমর্থকরা মেনে নিতে পারেননি, প্রতিশোধ নিতে পরবর্তীতে একের পর এক হামলা চালানো হয়।
২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে রাশেদ খান আরও লেখেন যে, ওই নির্বাচনে ছাত্র অধিকার পরিষদের প্যানেল থেকে ভিপি, জিএসসহ মোট ১১টি পদে জয় লাভ করলেও ছাত্রলীগ ফলাফল ছিনতাই করে। তবে যে দুটি পদ তারা পেয়েছিলেন, সেটিকে কাজে লাগিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তার দাবি অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমেই শেখ হাসিনার পতনের বীজ বপন হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন, তারাই এই প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে জাতিকে গণ-অভ্যুত্থান উপহার দিয়েছেন।
ডাকসুর বর্তমান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলোচনায় এসেছে ২০১৯ সালের সবশেষ নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী নানা ঘটনা। ওই সংসদে শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য করার প্রস্তাবটি করেছিলেন শামসুন্নাহার হলের তৎকালিন ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। এবার সেই ইমি বাম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট থেকে ডাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ভিপি পদে। একই প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সভাপতি মেঘমল্লার বসু।
তিনি এবার ডাকসুর ভিপি পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। হাসিনাকে আজীবন সদস্য দেখতে চাওয়া ইমির ডাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
আরও পড়ুন:








