রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট, ২০২৫ ০৬:৫৩

শেয়ার

খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন আজ
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ১৯৪৫ সালের দিনে তিনি দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। খালেদা জিয়ার পৈত্রিক নিবাস ফেনীর ফুলগাজী হলেও তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে দিনাজপুরে বাবার কর্মস্থলে। ইস্কান্দার মজুমদার তৈয়বা মজুমদার দম্পতির তৃতীয় সন্তান খালেদা জিয়া।

জন্মদিন উপলক্ষে বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও থাকছে না কোনো আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন। জন্মদিনে বেগম জিয়ার শারীরিক সুস্থতা দীর্ঘায়ু কামনা এবং৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে জীবনদানকারী শহীদগণ, ৯০ এর গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত আহতদের আশু সুস্থতা কামনায় ঢাকাসহ দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয় অথবা মসজিদে মিলাদ দোয়া মাহফিল করবে দলটি।

কেন্দ্রীয়ভাবে শুক্রবার বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

২০১৮ সালের পর নতুন প্রেক্ষাপটে এবার দ্বিতীয় বারের মতো খালেদা জিয়ার জন্মদিন এলো। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন আগস্ট স্থায়ী মুক্তি পান বেগম জিয়া। ফলে মুক্ত পরিবেশে এবারের জন্মদিনও কাটাবেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তবে থাকছে না কেক কাটার মতো কোনো কর্মসূচি।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে মিলাদ দোয়া মাহফিল ব্যতিরেকে কেক কাটা কিংবা অন্য কোনো আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান না করার জন্য সকল নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিএনপি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এক সময় ১৫ আগস্টে কেক কেটে তাদের নেত্রীর জন্মদিন পালন করতেন। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে তারা দলীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি না দিয়ে মিলাদ দোয়া মাহফিল করে আসছেন।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস, হৃদ্রোগ কিডনি জটিলতা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। গত কয়েক বছর অসুস্থতার মধ্যে থাকায় তিনি গুলশানের বাসাফিরোজা চিকিৎসকদের নিবিড় পরিচর্যায় চিকিৎসাধীন আছেন। নেতা-কর্মীদের তিনি সাধারণত সাক্ষাৎ দেন না। তবে দুই ঈদে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এর মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে চার মাস কাটান খালেদা জিয়া। সেখান থেকে গত মে ফেরেন তিনি। এরপর এক যুগের বেশি সময় পর গত ১০ মে দুই পুত্রবধূকে নিয়ে গুলশানে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের বাসায় যান খালেদা জিয়া। আর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর তাকে প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল। সেদিন তিনি সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়া একটি উজ্জ্বল নাম। ১৯৮১ সালের ৩০ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে বিপথগামী সৈন্যদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। এর পরপরই জিয়াউর রহমানের গড়া বিএনপির রাজনীতিতে আগমন ঘটে গৃহবধূ খালেদা জিয়ার। দলের নেতাকর্মীদের দাবির মুখে ১৯৮২ সালের জানুয়ারি তিনি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হন। এরপর প্রথমে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৪ সালে দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন তিনি। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী দীর্ঘ আপসহীন আন্দোলনের পর ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।



banner close
banner close