বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) আলহাজ্ব জি.কে. গউছ বলেছেন, তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলকে সুসংগঠিত রাখতে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি সতর্ক করে দেন, স্বৈরাচারী সরকারের দোসরদের যেন কোনোভাবেই বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করতে না দেওয়া হয়, সে বিষয়ে দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দকে কঠোর নজরদারি বজায় রাখতে হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে মৌলভীবাজার পৌরসভা সভাকক্ষে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও পৌর বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন এবং সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন।
জি.কে. গউছ আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পূর্বে, অর্থাৎ ৫ আগস্টের আগে যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন, এমন কোনো দোসরকে যেন দলে স্থান না দেওয়া হয়, সে বিষয়ে সকলকে কড়া সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা ও পৌর শাখা এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও পৌর শাখার আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কসহ সুপার ফাইভ কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সাংগঠনিক অগ্রগতি, দল পুনর্গঠন, কাউন্সিল ও সম্মেলনের সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন জানান, দুই উপজেলার চারটি ইউনিটের সাংগঠনিক অবস্থা পর্যালোচনা এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কার্যক্রম এগিয়ে নিতে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ৬ সেপ্টেম্বর কমলগঞ্জ পৌর শাখার কাউন্সিল ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, আগামী ১৪ আগস্ট স্থানীয় অডিটোরিয়ামে কমলগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে বর্ধিত সভা আহ্বান করা হয়েছে, যেখানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব উপস্থিত থাকবেন।
রিপন আরও বলেন, দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ পরিহার করে, পারস্পরিক সম্মান ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে পুনর্গঠনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখা এবং তৃণমূলকে সুসংগঠিত করে একটি শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলাই এখন মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন:








