চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে পাবলিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ১৪৪ ধারা অমান্য করে জেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাবেশ এবং মাইকিংয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বুধবার (৬ জুলাই) বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলাকালে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য র্যালি করেন জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে বক্তব্য দেন দলের সদস্য সচিবসহ অন্যান্য নেতারা।
জানা যায়, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন’ উপলক্ষে জেলা বিএনপির ব্যানারে আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে নেতাকর্মীরা জড়ো হন। ৫টা ০৭ মিনিটে শুরু হয় বক্তব্য, পরে ৫টা ২০ মিনিটে কলেজ থেকে র্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এদিকে একই সময়ে কলেজে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছিল। বিকেল ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত এই পরীক্ষার সময় সমাবেশ ও মাইকিংয়ে বিরক্ত হন শিক্ষার্থীরা। রানিহাটি কলেজের এক পরীক্ষার্থী বলেন, “পরীক্ষার সময় হঠাৎ মাইকের শব্দে মনোযোগ হারিয়ে ফেলি।” অন্য এক পরীক্ষার্থী বলেন, “রুমের শিক্ষকও বলছিলেন, এটা অন্যায়।”
নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল জানান, “পরীক্ষাকেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি ছিল। একটি গেট খোলা থাকায় জনসমাগম হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সচেতন হওয়া উচিত।”
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বলেন, “আমরা বিকেল ৫টার পর, পরীক্ষা শেষে বক্তব্য দিয়েছি। অনুমতি নিয়েই কর্মসূচি করা হয়েছে।”
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, “পরীক্ষাকেন্দ্রে সমাবেশ বেআইনি। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানালে ব্যবস্থা নেয়া হতো।”
আরও পড়ুন:








