জুলাই গনঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কুমিল্লা মহানগরীতে বিশাল গণমিছিল বের করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার(৫ আগস্ট) বিকালে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। গণমিছিলটি নগরীর টাউন হল মাঠ থেকে থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক কান্দিরপাড় অতিক্রম করে রাজগন্জ সার্কিট হাউজ হয়ে কান্দিরপাড় এসে গণমিছিলের সমাপ্তি হয়।
জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিট থেকে খন্ড খন্ড মিছিল টাউন হল মাঠে গণমিছিলে এসে যোগ দেয়। গণমিছিলের পূর্বে বক্তব্য দেন-কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
বক্তারা বলেন, বিগত ২৪ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতার মহাজাগরণে তৎকালীন খুনি হাসিনা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে খুনি হাসিনা নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। বাংলার জনগণ খুনি হাসিনার উপযুক্ত বিচার চান।
স্বৈরাচার শাসক পলাতক শেখ হাসিনা জামায়াত এবং শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেও মহাজাগরণ ঠেঁকাতে পারেননি। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশে সন্ত্রাসী দল আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বতীকালীন সরকার।
মিছিল ও কর্মসূচিতে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা অঞ্চল পরিচালক আব্দুস সাত্তার,মহানগরীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক এমদাদুল হক মামুন,সেক্রেটারি মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি কামারুজ্জামান সোহেল, যুব ও ক্রীড়া বিভাগের সভাপতি কাজী নজির আহমেদ অন্যান্যরা।
গণমিছিলটি দাঁড়িপাল্লা মার্কার নির্বাচনী শোডাউনে পরিণত হয়। মিছিলকারীরা বিভিন্ন সাইজের দাঁড়িপাল্লা প্রদর্শন করে। অনেকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও জামায়াতের দলীয় পতাকা বহন করে। খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে আসা নেতাকর্মীরা মাথায় লাল-সবুজের ফিতাও পরিধান করে। গণমিছিলে যোগদানকারীরা নানা শ্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলে জামায়াতের কর্মীরা।
উল্লেখযোগ্য স্লোগানের মধ্যে ছিল ‘আল কোরআনের আলো সংসদে জ্বালো’, জুলাইয়ের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, বিচার চাই বিচার চাই গণহত্যার বিচার চাই, ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই, ফ্যাসিবাদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, দালালি না রাজপথ রাজপথ রাজপথ, আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ, ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা নে চাঁদাবাজি ছেড়ে দে প্রভৃতি।
আরও পড়ুন:








