রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রের দাবিতে চাঁদপুরে ইসলামী যুব আন্দোলনের সমাবেশ

চাঁদপুর প্রতিনিধি:

প্রকাশিত: ১ আগস্ট, ২০২৫ ২১:০১

শেয়ার

ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রের দাবিতে চাঁদপুরে ইসলামী যুব আন্দোলনের সমাবেশ
ছবি সংগৃহীত

ইসলামী আদর্শভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, জুলাই চেতনার বাস্তবায়ন, গণহত্যার বিচার, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের দাবিতে চাঁদপুরে সমাবেশ করেছে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জেলা শাখার উদ্যোগে এই জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দলের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, “জুলাই চেতনার অর্থ শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি নয়। আমরা শহীদ পরিবারের সম্মান ও পুনর্বাসন চাই। চাই ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র, যেখানে প্রত্যেক নাগরিক ন্যায্য অধিকার পাবে। এ দেশের ভবিষ্যৎ ইসলামী আদর্শেই নির্মিত হওয়া উচিত, আর সে লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

তিনি বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের প্রকৃত সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ। ইসলাম ও মানবতাবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এমন একটি রাষ্ট্র চাই, যেখানে দারিদ্র্য, দুর্নীতি ও বৈষম্যের জায়গা থাকবে না। শহীদদের স্বপ্নপূরণে ইসলামী আন্দোলনই জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সামনে এগিয়ে নিতে পারবে।”

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমদ সাকী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহা. জয়নাল আবেদীন, চাঁদপুর জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি কে. এম. ইয়াসিন রাশেদ সানী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি মুহা. আবুল বাশার তালুকদার, যুব আন্দোলনের সাবেক জেলা সভাপতি মাওলানা হেলাল আহমাদ এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি ডি. এম. ফয়সাল।

সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব আন্দোলন চাঁদপুর জেলা সভাপতি মুফতি ইমরান হোসাইন।

সমাবেশে বক্তারা সম্প্রতি এক রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতির বক্তব্যের নিন্দা জানান, যেখানে ইসলামপন্থী দলগুলোর মসজিদে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা এবং ইমাম-মুয়াজ্জিনদের তালিকা তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়।

নেতারা বলেন, “মসজিদ মুসলমানদের পবিত্র স্থান। এখান থেকেই ন্যায়ের বার্তা ছড়িয়ে পড়বে। ইসলামী রাজনীতি ও জনকল্যাণের আহ্বানও মসজিদ থেকেই উঠে আসবে। আমরা কোনো হুমকি-ধমকিকে ভয় পাই না। ইসলামের আলোকে রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি—এবং এর সূচনা মসজিদ থেকেই হবে।”

তারা আরও বলেন, “ধর্ম ও রাজনীতিকে আলাদা করার ষড়যন্ত্র জনগণ মেনে নেবে না। সংবিধান ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন করাই এখন সময়ের দাবি।”



banner close
banner close