বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, গত ১৬ বছরে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন ও দুঃশাসন দেশকে বিপর্যস্ত করলেও জনগণের আন্দোলন থেমে থাকেনি। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন একসময় গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মাছুমপুরে শহীদ সোহানুর রহমান রঞ্জুর স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ সুগম হয়েছে। সেই আন্দোলনে শহীদ রঞ্জুর আত্মত্যাগ আমাদের শক্তি ও প্রেরণা জোগায়। শহীদদের ত্যাগ কখনো বৃথা যায় না।”
রঞ্জুর পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে টুকু বলেন, “যে পরিবার প্রিয় সন্তান হারায়, সেই শূন্যতা কখনোই পূরণ হয় না। আমরা শহীদের পরিবারের পাশে আছি, থাকব। তবে পিতৃস্নেহ বা ভ্রাতৃত্বের মমতা ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।”
এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, মকবুল হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর হোসেন ভুঁইয়া সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম খান, হারুন অর রশিদ খান হাসান, মোস্তফা নোমান আলাল, মুন্সি জাহিদ আলম, ইমরুল কায়েস প্রেম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজেশ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্বে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে সিরাজগঞ্জ শহরে প্রবেশ করলে এসএস রোডে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান খান রঞ্জু গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
আরও পড়ুন:








