বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধের গন্তব্যে দেড় দশকের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় শেষ পর্যন্ত জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের হাজারো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে স্বৈরাচার এদেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শহীদ হয়েছে কিন্তু শ্রমজীবি মানুষ। বিশেষ করে এই সাভার-আশুলিয়ায় শ্রমিকদের ওপরে গণহত্যা চালানো হয়েছিল, হত্যার পরে লাশগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। লাশের সঙ্গে এমন বর্বরতা, লাশের সঙ্গে এমন নির্মমতা, মনে হয় কারবালার যে নৃশংসতা তাকেও হার মানিয়েছে। ৫ই আগস্টের ফ্যাসিস্টদের পলায়নের দিন সাভার-আশুলিয়ায় শ্রমিকদের ওপর গণহত্যা চলেছিল, মানুষদের ওপর গণহত্যা চলেছিল।
গতকাল বুধবার বিকেলে আশুলিয়ার শ্রীপুরস্থ দারুল ইহসান মাদ্রাসা মাঠে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে শ্রমিক-ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ ‘নারকীয় আশুলিয়া স্মরণে’ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সরকারি চাকুরীতে কোটা সংস্কারের দাবীতে গত বছরের জুলাইয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেই আন্দোলনে কিন্তু শ্রমজীবী মানুষের হয়তো সরাসরি কোনো স্বার্থ জড়িত ছিল না। কারণ তারা কোনো সরকারি চাকুরীর আশা করেনি। তাহলে প্রশ্ন আসে পোশাক কারখানার শ্রমিক, রিকশা চালক, দিনমজুর, ভ্যান চালক, অটো রিকশা চালক, ট্রাক চালক, হেলপার, দোকানদার কিংবা রেস্তোরা কর্মী, অথবা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ কেন সেদিন রাজপথে নেমেছিল? একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি একটি কারণ খোঁজে পাই, এর কারণ একটাই, দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ, দেশপ্রেমী গণতন্ত্রকামী জনগণ বিশ্বাস করেছেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় ক্ষমতালোভী ফ্যাসিস্ট যে পালিয়ে গিয়েছে তারা যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকে, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, জনতা, কেউ তাদের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার ফেরত পাবেনা। কারো কোনো ন্যায্য দাবী আদায় হবে না। দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামি জনগণ বিশ্বাস করেছিল সেদিন, যে ক্ষমতালোভী ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে সক্ষম হলে দেশের সার্বভৌমত্ব ভূ-লুন্ঠিত হবে এবং এ কারণেই ফ্যাসিস্টদের সেই স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষ নির্দ্বিধায় মৃত্যুকে সাহসের সঙ্গে সেদিন আলিঙ্গন করেছিল।
আরও পড়ুন:








